• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রাশিয়ায় হচ্ছে ট্রাম্প সড়ক!


নিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ২৩, ২০১৭, ০৩:০৪ পিএম
রাশিয়ায় হচ্ছে ট্রাম্প সড়ক!

ঢাকা : প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যখন বিক্ষোভ চলছে তখন রাশিয়ার চিত্র অন্য রকম। রাশিয়ানরা ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া সম্পর্ক উন্নত করতে চায়। 

এ জন্য ১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের স্মৃতিচিহ্ন বিজরিত একটি সড়ককে ট্রাম্প সড়ক হিসেবে নামকরণের আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ান ইতিহাসবেত্তা ও লেখক সের্গেই বিজুকিন।

এরই মধ্যে বিজুকিন অনলাইনে অন্যদের সমর্থন আহ্বান করেছেন। তার এ আহ্বানে সাড়া দিয়েছেন কয়েক শত মানুষ। সোমবার (২৩ জানুয়ারি) স্কাই নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

স্কাই নিউজের মস্কো প্রতিনিধি জন স্পার্কস বলেছেন, যে সড়কটি ট্রাম্পের নামে নামকরণ করার কথা বলা হচ্ছে সেটি ‘গডলেস স্ট্রিট’ নামে পরিচিত। এর একদিকে সাজানো এপার্টমেন্ট ব্লক। অন্যদিক দৃশ্যত ফাঁকা। বরফে আচ্ছাদিত সবকিছু।

১৯১৭ সালের রুশ বিপ্লবের কিছু স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে এখানে। এ সড়কটি ট্রাম্প সড়ক হিসেবে নামকরণে আহ্বান জানিয়েছেন বিজুকিন।

ট্রাম্পের প্রশংসা করে তিনি বলেছেন, তিনি অবশ্যই অত্যন্ত আগ্রহোদ্দীপক ও মেধাবী একজন মানুষ। তিনি কেন এই সড়কটির ওইরকম নাম দিতে চান? তার জবাবে বলছেন, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নত করার জন্য এমনটা করতে চান তিনি। 

কারণ বেশির ভাগ মানুষই যুক্তরাষ্ট্রের মানুষের বন্ধু হতে ও তাদের সঙ্গে আলোচনা করাকে পছন্দ করেন। রাশিয়ার অর্থনীতিও ভাল নয়। তাই ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ার জন্য এমনটা করা প্রয়োজন।

এ বিষয়ে গডলেস স্ট্রিটের অধিবাসীদের চিন্তাভাবনা কি সে সম্পর্কে তথ্য নিয়েছেন সাংবাদিক জন স্পার্কস। তিনি জানিয়েছেন, স্থানীয় অনেক মানুষই বিজুকিনের সঙ্গে একমত। তাদের একজন বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরোপিত অবরোধ বাতিল করবেন ট্রাম্প। তিনি আমেরিকান সিনেটর জন ম্যাককেইনের মতো বলেন নি যে, রাশিয়া হলো শত্রু।

আরেকজন ট্রাম্প সম্পর্কে বলেছেন, তার মুখাবয়ব দেখতে আসলেই আমি পছন্দ করি। এখন বিজুকিনের সঙ্গে রাশিয়ার সাবেক কেজিবি এজেন্ট, বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন একমত হবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। তিনি ট্রাম্পকে সম্মান জানানোর কথা বলেছেন। তাকে মেধাবী বলে আখ্যায়িত করেছেন।

টুইটে রাশিয়াকে যেটুকু দেওয়ার কথা বলেছেন ট্রাম্প বাস্তবে হয়তো তার চেয়েও অনেক বেশি দিতে পারেন। এসব নিয়ে আলোচনা হচ্ছে চারদিকে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!