• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

রাস্তা সংকীর্ণতায় হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত


হিলি (দিনাজপুর) প্রতিনিধি মার্চ ২৪, ২০১৭, ০২:২৬ পিএম
রাস্তা সংকীর্ণতায় হিলি বন্দরে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত

দিনাজপুর : দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরের রাস্তাঘাট প্রশস্ত না হওয়ায় এ বন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সম্প্রসারণ হচ্ছে না। বিকল্প সড়ক না থাকায় প্রধান রাস্তায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপে যানজট তৈরি হচ্ছে। ফলে পণ্য পরিবহনের জন্য ট্রাক নির্ধারিত সময়ে বন্দরে প্রবশে করতে পারছে না। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী ও লোকজনের চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তাই এ সড়ক দ্রুত চার লেনে উন্নীত করার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা ও জনসাধারণ।

জানা যায়, ১৯৮৬ সালে হিলি স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়। ২০০৭ সালের ২৬ নভেম্বর এ বন্দর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ছেড়ে দেয়া হয়। ওই সময় ২৫ বছরের জন্য বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেয়া হয় পানামা হিলি পোর্ট লিংক লিমিটেডকে। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হওয়ার সুবাদে অচিরেই ভারতের সঙ্গে পণ্য আমদানি-রফতানিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এ বন্দর। কিন্তু সময়ের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়লেও বন্দরের প্রধান সড়কটি সম্প্রসারণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে এখন হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বাণিজ্য সম্প্রসারণে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এ সড়ক। এছাড়া হিলি-জয়পুরহাট ও হিলি-বগুড়া সড়কও সম্প্রসারণ না হওয়ায় পণ্য আনা-নেয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসায়ীরা জানান, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রচুর পণ্য আমদানি-রফতানি হয়। কিন্তু বন্দরে পণ্য পরিবহনের জন্য মাত্র একটি সড়ক থাকার কারণে প্রচুর চাপ সৃষ্টি হয়। সড়কটি অপ্রশস্ত হওয়ার কারণে বন্দরে পণ্য খালাস করে ভারতীয় খালি ট্রাক বের হতে অনেক সময় লাগে। এসব ট্রাক বেরিয়ে যাওয়ার পর আমদানিকৃত পণ্য বহনের জন্য দেশীয় ট্রাক প্রবেশ করতে শুরু করে। এতে যানজট সৃষ্টি হয়। বন্দরে ট্রাক প্রবেশের সময়সীমা সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত নির্ধারণ করে দেয়া আছে। ফলে অনেক সময় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বন্দরে ট্রাক প্রবেশ করতে পারে না। এতে আমদানিকারকরা আর্থিকভাবে তিগ্রস্ত হয়। এ কারণে অনেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি বন্ধ করে দিয়েছেন।

ব্যবসায়ীরা আরও জানান, স্থলবন্দরের সড়কটি চার লেনে উন্নীত করা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে বন্দর থেকে দেশের অভ্যন্তরে পণ্য পরিবহনের জন্য হিলি-জয়পুরহাট-ঢাকা ও হিলি-বগুড়া-ঢাকা সড়ক প্রশস্ত করা দরকার। এমনটি করা হলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি আরো বাড়বে।

এ স্থলবন্দরের প্রধান সমস্যা যানজট। সীমান্তের জিরো পয়েন্ট থেকে বন্দরের গেট পর্যন্ত যে রাস্তাটি অত্যন্ত সংকীর্ণ ও সরু। সড়কের পাশে ড্রেনের কাজ চলার কারণে তা আরো সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে যানজট আরও প্রকট হয়ে দাড়িয়েছে ।

পর্যবেক্ষক মহলের ধারনা রাস্তাটি চার লেনে উন্নীত না হলে এ সমস্যা থেকেই যাবে। সরু রাস্তার কারণে অহরহ দুর্ঘটনা ঘটছে। এতে অনেক মানুষ আহত হচ্ছে, অনেকে মারাও যাচ্ছে। অচিরেই এ সড়ক চার লেনে উন্নীত করা দরকার। এতে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রফতানি বাড়লে সরকারের রাজস্ব আহরণের পরিমাণও বাড়বে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!