• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রায়ে সন্তুষ্ট রাজনের বাবা


আদালত প্রতিবেদক এপ্রিল ১১, ২০১৭, ০২:৩৩ পিএম
রায়ে সন্তুষ্ট রাজনের বাবা

ঢাকা: সিলেটের চাঞ্চল্যকর শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যা মামলায় নিম্ন আদালতের দেয়া চার আসামির ফাঁসি বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। আদালতের রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাজনের বাবা আজিজুর রহমান আলম।

তিনি বলেন, আমি বিচারক, সরকার ও মিডিয়াকে ধন্যবাদ জানাই। তারাতারি আসামীদের ফাসি কার্যকর চান তিনি।

মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামিরা হলেন- কামরুল ইসলাম, ময়না চৌকিদার, তাজউদ্দিন আহমদ বাদল ও জাকির হোসেন পাভেল আহমদ।

এই মামলায় নিম্ন আদালতে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি নূর মিয়ার দণ্ড কমিয়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রধান আসামি কামরুলের তিন ভাই মুহিত আলম, আলী হায়দার ও শামীম আহাম্মেদের সাত বছরের সাজা বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। অপর আসামি দুলাল আহাম্মেদ ও আয়াজ আলীর এক বছরের সাজাও বহাল রেখেছেন আদালত।

মঙ্গলবার বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে গত ১২ মার্চ রাজন হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের করা আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শেষে রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

গত ৩০ জানুয়ারি রাজন হত্যা মামলার আপিল ও ডেথ রেফারেন্সের শুনানি শুরু হয়। ২০১৫ সালের ১০ নভেম্বর রাজন হত্যা মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে এসে পৌঁছায়। পরে প্রধান বিচারপতির নির্দেশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়।

সাধারণত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের ফাঁসির রায় কার্যকরের আগে হাইকোর্টের অনুমতির প্রয়োজন হয়। যা ডেথ রেফারেন্স নামে পরিচিত। ডেথ রেফারেন্সের পাশাপাশি বিচারিক আদালতের ফাঁসির রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল দায়ের করেন।

২০১৫ সালের ৮ নভেম্বর রাজন হত্যা মমালায় আসামি কামরুলসহ চারজনকে ফাঁসির আদেশ দেন আদালত।

২০১৫ সালের ৮ জুলাই চুরির অপবাদে সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন শেখপাড়ায় নির্যাতন করে হত্যা করা হয় সিলেটের জালালাবাদ থানা এলাকার বাদেয়ালি গ্রামের সবজি বিক্রেতা শিশু রাজনকে। লাশ গুম করার সময় ধরা পড়ে একজন। পরে পুলিশ বাদী হয়ে জালালাবাদ থানায় মামলা করে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!