• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রিজার্ভ চুরিতে জড়িতদের নাম বলবে এফবিআই


নিজস্ব প্রতিবেদক মার্চ ২৯, ২০১৭, ০৮:০১ পিএম
রিজার্ভ চুরিতে জড়িতদের নাম বলবে এফবিআই

ঢাকা: নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব থেকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ লোপাট হয়েছে কর্মকর্তাদের যোগসাজশেই বলে মন্তব্য করেছেন এফবিআই কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, শিগগিরই তাদের নাম প্রকাশ করা হবে। রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তদন্তকারী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইর এক কর্মকর্তা এ কথা বলেছেন।

ল্যামন্ট সিলার নামের এই কর্মকর্তা এখন ফিলিপাইনে রয়েছেন। বুধবার (২৯ মার্চ) তিনি বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার রাষ্ট্রীয় মদদেই লুট হয়েছিল।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে তিনি জানিয়েছেন, খুব শিগগিরই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তদন্ত শেষ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবে। এর আগে গত সপ্তাহে ওয়াশিংটনে মার্কিন কর্মকর্তারা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরিতে উত্তর কোরিয়া জড়িত বলে দাবি করেন।

এক সাইবার নিরাপত্তা ফোরামে ল্যামন্ট সিলার বলেন, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাইবার চুরির বিষয়ে সব কিছু জানি, রাষ্ট্রীয় মদদে হামলার মাত্র একটি উদাহরণ এটি; যা ব্যাংকিং খাতে করা হয়েছে। চুরির সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি নিশ্চিত করতে ফিলিপাইন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছে এফবিআই।

মার্কিন এই গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, আমাদের কাজ এখনো শেষ হয়নি। আমরা অভিযুক্তদের বিচারের মুখোমুখি করতে চাই। যাতে আমরা অন্যদের দেখাতে পারি যে, রাষ্ট্রীয় মদদেও এ ধরনের হামলা চালানো হওয়ার পরেও শাস্তি ভোগ করতে হবে দোষী ব্যক্তিকে। শেষ পর্যন্ত শাস্তি থেকে পালানোর কোনো উপায় নেই।

অপর এক প্রতিবেদনে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, বাংলাদেশের এ সাইবার চুরির ঘটনায় উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মার্কিন প্রসিকিউটররা। এতে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে চীনা এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করা হতে পারে।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৪ মার্চ রাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার লোপাট করা হয়। পরে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফেডারেল রিজার্ভে রক্ষিত ব্যাংক হিসাব থেকে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে এ অর্থ সরিয়ে নেয়া হয়েছে। পরে ফিলিপাইন সরকার দেশটির এক ক্যাসিনো মালিকের কাছ থেকে দেড় কোটি ডলার উদ্ধার করে ফেরত দেয় বাংলাদেশ ব্যাংককে। এঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের হলেও এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

এ ঘটনায় অর্থমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিনকে প্রধান করে তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। কমিশন ৭৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়। কিন্তু সেই প্রতিবেদন এখনো প্রকাশ করেনি অর্থমন্ত্রণালয়। তখন ফরাসউদ্দিন বলেছিলেন, রিজার্ভ লোপাটের ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের গাফলতি ছিল।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!