• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রিজার্ভ চুরির অর্থ ফেরতে মামলা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক


জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ৭, ২০১৮, ০৫:০৯ পিএম
রিজার্ভ চুরির অর্থ ফেরতে মামলা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক

ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক হিসাবে থাকা রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের লেনদেনকারী ব্যাংক রিজাল কমার্সিয়াল ব্যাংকের (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের হিসাবে এ অর্থ ছিল।

এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে ব্যাংকটির বিরুদ্ধে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এ সিদ্ধান্তের কথা এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক।

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতও সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে মামলার সিদ্ধান্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি ফিলিপাইন সফর করে এসেছেন। যে প্রতিবেদন তারা দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই মামলা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।  

আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে নিউ ইয়র্কে এই মামলা করা হবে। মামলার বাদী হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ও সুইফট কর্তৃপক্ষও থাকবে। ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারির শুরুতে সুইফট মেসেজিং সিস্টেমের মাধ্যমে ৩৫টি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রক্ষিত বাংলাদেশের এক বিলিয়ন ডলার সরিয়ে ফেলার চেষ্টা হয়।

এর মধ্যে পাঁচটি মেসেজে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার যায় ফিলিপিন্সের আরসিবিসিতে। আর আরেক আদেশে শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয় ২০ লাখ ডলার। শ্রীলঙ্কায় পাঠানো অর্থ ওই অ্যাকাউন্টে জমা হওয়া শেষ পর্যন্ত আটকানো গেলেও ফিলিপিন্সের ব্যাংকে যাওয়া অর্থের বেশিরভাগটাই স্থানীয় মুদ্রায় বদলে জুয়ার টেবিল ঘুরে চলে যায় নাগালের বাইরে।

রিজল ব্যাংকের একটি শাখা হয়ে বেরিয়ে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে এক ক্যাসিনো মালিকের ফেরত দেওয়া দেড় কোটি ডলার বাংলাদেশকে বুঝিয়ে দিয়েছে ফিলিপিন্স। এ ঘটনায় রিজল ব্যাংককে ২০ কোটি ডলার জরিমানাও করেছে ফিলিপিন্সের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। জরিমানার ওই অর্থ তারা পরিশোধ করলেও বাংলাদেশকে বাকি অর্থ ফেরতের দায় নিতে তারা রাজি নয়।

ডেপুটি গভর্নর রাজী হাসান বলেন, ফিলিপিন্সে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ ডলারের মধ্যে ৬ কোটি ৭০ লাখ বেরিয়ে কোথায় গেছে তার ধারণা পাওয়া গেলেও প্রায় দেড় কোটি ডলারের বিষয়ে কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। আরসিবিসির উপর থেকে নিচ পর্যন্ত অনেকে জড়িত। এ কারণেই আমরা ফৌজদারি মামলা করতে যাচ্ছি।

সোনালীনিউজ/তালেব

Wordbridge School
Link copied!