• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রিপনের স্ট্যাটাসে ক্ষেপেছেন বিএনপি সমর্থকরা


ফেসবুক থেকে ডেস্ক মে ২০, ২০১৮, ১২:২৬ পিএম
রিপনের স্ট্যাটাসে ক্ষেপেছেন বিএনপি সমর্থকরা

ঢাকা : ড. আসাদুজ্জামান রিপন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি। গত কমিটিতে ছিলেন আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক। বর্তমান কমিটিতে বিশেষ সম্পাদক। শনিবার (১৯ মে) বিকাল ৫টা ২৯ মিনিটে নিজের ফেসবুক পেজে তিনি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, ‘নিরপেক্ষ ভোটের জন্য জনগণ কারুর দিকে আর তাকিয়ে নাও থাকতে পারে। নিজেরাই রাস্তায় নেমে অধিকার আদায় করবে। সরকার তখন গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দিতে বাধ্য হবে।’

তার এই মন্তব্যের ২ ঘণ্টার মধ্যে ৮৯ জন মন্তব্য করেছেন, ৫৪৬ জন লাইক দিয়েছেন এবং ৫টি শেয়ার হয়েছে। ওই বক্তব্যের সঙ্গে সহমত আছে ৫ জনের। এক ডজন ব্যক্তি এ বক্তব্যে খুব মজা পেয়েছেন। অনেকে একহাত নিয়েছেন ড. রিপনকে।

মোস্তফা মহসিন নামে একজন লিখেছেন, ‘শ্রদ্ধেয় লিডার, আপনার মুখ থেকে এমন কথা আশা করিনি, একবার কী ভেবেছেন কত ঠুনকো হয়ে গেছেন আপনারা, ভিক্ষা চাইতেও লজ্জাবোধ নেই, কী অপমানকর চিন্তা আপনাদের। আর আপনারাই আবার ক্ষমতায় যেতে চান, হায় আল­াহ তুমি মাটি ভাগ করে দাও, মুখটা অন্তত লুকাই, ছি, ছি।’   

শাহরিয়ার হাসানের অনুধাবন হলো, ‘আমরা যারা বিএনপি করি বিএনপি ক্ষমতায় এলে যারা মন্ত্রী-এমপি হব টেন্ডারবাজি করে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর, তারা ঘুমিয়ে থাকলে হাসিনা তাড়াতাড়ি ক্ষমতা ছেড়ে দেবে। আপনারা সবাই নাকে তেল দিয়ে ঘুমান।’   

এসএ খোকনের মন্তব্য, ‘বিএনপি নেতারা এই আশা নিয়েই বসে আছে, জনগণ কখন তাদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেবে, আর তারা এমপি-মন্ত্রী হবে।’  

তানভীরের প্রশ্ন, জনগণ নামবে, আপনারা কী করবেন? জনগণের দোহাই দিয়ে আর কত এসির বাতাস খাবেন?’   

মাহবুবুর রহমান লিখেছেন, ‘ঢাকা সিটিসহ বিভিন্ন জেলায় ছাত্রলীগ কমিটি ঘোষণা করছে। আর চলতি মাসে কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করবে। আমাদের ছাত্রদলের কেন এ অবস্থা? এ লজ্জার দায় কার...? দায়িত্বশীলদের মনে হয় লজ্জা নেই..! ওনাদেরও একটু লজ্জা ধার দেবেন...প্লিজ। সারা দেশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের হাজার হাজার কর্মীর ভবিষ্যৎ আজ অন্ধকার।’   

সৈয়দ আশফাক আহম্মেদ লিখেছেন, ‘ভাইয়া, জনগণকে নামানোর কাজটি তো নেতাদেরই করতে হবে, আর নেতারা এসি রুমে বসে থাকলে জনগণ নামবে না।’   

জাকির হোসেন লিখেছেন, ‘ভাইজান, আমাদের অক্ষমতাই ওদের মারমুখী আচরণের কারণ, খালেদা জিয়ার কারাবাস হতে পারে আনোয়ার ইব্রাহীমের উদাহরণ, যদি নেতাদের সদিচ্ছা থাকেক্স।’  

হাসান কবীরের বক্তব্য, ‘ড. আসাদুজ্জামান রিপন আপনারা তো সর্বদা নিরাপদেই আছেন।’  

মহাবুবুর রহমান নামের আরেকজনের মন্তব্য, ‘বড় নেতাদের বড় বড় কথা। খালেদা জিয়া জেলে থাকলে নাকি কোনো ইউনিটে কোনো কমিটি দেওয়া যাবে না, দেওয়া হবে না। আরে ভাই কমিটি যদি না দেন খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য আন্দোলন করবে কে?’   

আশিক লিমন লিখেছেন, ‘জনগণের ঠ্যাকা পড়ে নাই নেতা, আপনারা সারা দেশের কমিটিগুলোয় ছাগল দিয়ে হাল চাষের যে চেষ্টা করেছেন, তাতে জনগণ আপনাদের ওপর বিরক্ত।’   

রফিকুল ইসলামের মন্তব্য, ‘ওই আশায় আপনারা রাজপথে নামেন না। আর আমরা তৃণমূল কর্মীরা তিলে তিলে শেষ হয়ে যাচ্ছি, একজন নেতা অন্তত রাস্তায় নামুন, আমরা আপনাদের হিরো বানাব।’  

রুবেল আহম্মেদের জিজ্ঞাসা, ‘শ্রদ্ধেয় লিডার আজ বিএনপির আলালের ঘরের দুলালরা কোথায়? আজ ওদের পাওয়া যাবে না। পাওয়া যাবে মনোনয়ন বণ্টনের সময়।’  

অ্যাডভোকেট মহসিন লিখেছেন, ‘জনগণকে আর কত বলির পাঁঠা বানাবেন?

মো. ইউনুস জানতে চেয়েছেন, ‘১০-১২ বছরেও কি সময় হয়নি বিএনপির মি. রিপন?’  

মাহমুদুন নবী লিখেছেন, ‘এসি রুমে বসে বসে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে গণতন্ত্র রক্ষা করবেন উনারা.... বাহরে বাহ কী নেতা আমার? রাজপথে আসুন সাহস থাকলে, দেখি হিম্মত কত।’  

সোহাগের মন্তব্য, ‘জনগণ রাস্তায় নামবে, আর নেতা ভাইয়েরা এসি রুমে নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবে, পরে পার্টি অফিসে এসে পুঁথি পাঠ করবে, তাতেই সরকার পড়ে যাবে, (দিবাস্বপ্ন)।’  

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!