• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
তালাবদ্ধ ঘরে মৃত মায়ের সঙ্গে শিশু

রিমার লাশ নিতে আসেনি কেউ


নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি মার্চ ৩০, ২০১৮, ০২:৪৭ পিএম
রিমার লাশ নিতে আসেনি কেউ

ঢাকা : নারায়ণগঞ্জে হত্যার শিকার গৃহবধূ রিমা আক্তারের লাশ গ্রহণের জন্য তার কোনো স্বজন আসেনি। পুলিশ জানিয়েছে, রিমার গ্রামের বাড়ি পাবনায় বার বার যোগাযোগ করেও কোনো আগ্রহ পাওয়া যায়নি; তারা মামলাও করতে চাইছে না। রিমার দেড় বছরের শিশু নাহিদ আছে তার চাচির হেফাজতে। রিমার স্বামী আলামিন মিয়াকে বৃহস্পতিবার (২৯ মার্চ) পাওয়া যায়নি।

গত বুধবার বিকালে জেলার ফতুল্লা উপজেলার কোতোয়ালেরবাগ এলাকার একটি ঘর থেকে বিকট দুর্গন্ধ আসার পর তালা ভেঙে রিমার লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। এ সময় রিমার নিথর দেহের পাশেই আপনমনে খেলছিল তার দেড় বছরের ছেলে নাহিদ। অবিশ্বাস্য এ ঘটনার খবর পেয়ে সেখানে যান ফতুল্লা মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অটল দাস। তিনি জানান, নিহতের হাতে ও গলায় আঘাতের দাগ আছে। পুলিশ ও প্রতিবেশীদের ধারণা, গত সোমবার রাতের কোনো এক সময় রিমাকে হত্যা করা হয়। তাদের বিশ্বাস, হত্যাকারী আর কেউ নয়, রিমার স্বামী আলামিন।

থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শাহজালাল গতকাল জানান, বুধবার বিকালে রিমার লাশ উদ্ধারের পর তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে অনেক কথা হয়েছে। বার বার অনুরোধ করা হলেও তারা মরদেহ নিতে ও মামলা করতে রাজি হয়নি। ময়নাতদন্তের পর ফতুল্লার কোতোয়ালেরবাগ এলাকায়ই লাশ দাফন করা হবে।

শিশু নাহিদ তার কাছে আছে জানিয়ে মাহিনূর বেগম বলেন, রিমার পরিবার চাইলে নাহিদকেও বুঝিয়ে দেওয়া হবে। মাহিনূর জানান, বুধবার বিকাল থেকেই নাহিদ তার হেফাজতে রয়েছে। খুব একটা কান্নাকাটি করছে না। কয়েকবার পাতলা পায়খানা হয়েছে। তিনি আরো জানান, নাহিদের বাবা আলামিন মাদকাসক্ত। এজন্য প্রতিবেশী ও আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে তার তেমন যোগাযোগ ছিল না। কয়েক বছর আগে একটি পোশাক কারখানায় চাকরির সময় রিামার সঙ্গে সম্পর্ক হয়। পরে তাকে বিয়ে করেন আলামিন।

তবে রিমার বাবার বাড়ি থেকে কখনো কেউ আসেনি। কয়েকজন প্রতিবেশী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, আলামিন প্রায়ই রিমাকে মারধর করতেন। রিমাকে বিয়ের আগে আলামিন বিভিন্ন সময়ে স্ত্রী পরিচয়ে অনেককে বাসায় এনেছেন। তবে আলামিন মাদকাসক্ত হওয়ায় প্রতিবেশীরা তার বাড়িতে ভিড়ত না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!