• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রুবেল-শাহাদাতের পর আরাফাত সানি


রবিউল ইসলাম বিদ্যুৎ জানুয়ারি ২২, ২০১৭, ০৬:১২ পিএম
রুবেল-শাহাদাতের পর আরাফাত সানি

ঢাকা: বাংলাদেশের ক্রিকেট যখন তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই সময় কয়েকজন ক্রিকেটার বিতর্কের জন্ম দিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে এদেশের ক্রিকেট সম্পর্কে একটা নেতিবাচক বার্তা পৌঁছে দিল! যার সর্বশেষ উদাহরণ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানি। যা খবর, জাতীয় দলের এই ক্রিকেটারের একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশ সানির পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছিলেন।

তথ্যপ্রযুক্তি আইনে জনৈক নারীর মামলায় রোববার (২২ জানুয়ারী) সকালে গ্রেপ্তার করা হয় সানিকে। আদালত সূত্র জানায়, সানির সঙ্গে ওই নারীর বিয়ে হয়েছিল। গত বছরের ১২ জুন ওই নারীর ফেসবুক মেসেঞ্জারে একান্ত ব্যক্তিগত ছবি পাঠান তিনি। পরে নানা ধরণের হুমকি ধামকি দেন। গত বছরের ২৫ নভেম্বর ফের ওই নারীকে মেসেঞ্জারে আপত্তিকর ছবি পাঠান সানি। যদিও তার আইনজীবি এসবকে ভিত্তিহীন ও বানোয়াট বলে দাবী করেন।

বিষয়টি এখন আদালতের মাধ্যমেই সুরাহা হবে। সানি নির্দোষ না ওই নারী তাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন সেটা সময়ই বলে দেবে। সবচেয়ে বড় কথা, সানিকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। সাধারণ কোন মানুষ হলেও সংবাদমাধ্যমে এটা ঠাঁই-ই পেত না। সানি জাতীয় দলে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০১৬ টি২০ বিশ্বকাপ খেলেছেন। ওই বিশ্বকাপে তার বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়ে। তারপর ব্রিসবেনে বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে ফিরেছেন। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের হয়ে দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন। অপেক্ষা করছেন জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনের। ঠিক তার আগে এরকম একটি ঘটনা সানিকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করবে স্বাভাবিক।

বাংলাদেশের ক্রিকেটে নারীঘটিত বিষয়ে বিতর্কের জন্ম দেওয়া সানি প্রথম ক্রিকেটার নন। ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপের আগে পেসার রুবেল হোসেন ও চিত্র নায়িকা নাজনিন আখতার হ্যাপিকে নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রুবেলকে জেলও খাটতে হয়। ২০১৪ সালের ১৩ ডিসেম্বর নায়িকা হ্যাপি বাদী হয়ে মিরপুর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। তিনি সেখানে অভিযোগ করেন, ফেসবুকের মাধ্যমে তার রুবেলের সঙ্গে পরিচয় হয়। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল তার সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। কিন্তু রুবেল বিয়ের প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।

শুধু তাই নয়, রুবেলকে জাতীয় ও বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ দিতে হাইকোর্টে রিট করেন হ্যাপি। হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেন। শেষ পর্যন্ত জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ দলের সঙ্গী হন রুবেল। ইংল্যান্ডকে হারানো ম্যাচে অসাধারণ বোলিং করেন তিনি।

ওই বছর আরও একটি বিতর্কের জন্ম দেন পেসার শাহাদাত হোসেন। শিশু গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে নির্যাতনের মামলায় তাকেও জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। একই মামলায় শাহাদাতের স্ত্রীকেও জেল খাটতে হয়। হ্যাপি শাহাদাতের বাসায় কাজ করত। শাহাদাত ও তার স্ত্রী তাকে প্রায়ই মারপিট করত। শুধু তাই নয়, তাকে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা দিতেন। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে হ্যাপি বাসার দরজা খোলা পেয়ে পালানোর চেষ্টা করে কালশিতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গিয়ে শাহাদাত ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেন জনৈক খন্দকার মোজাম্মেল হক।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই/আরআইবি

Wordbridge School
Link copied!