রূপকথার রাজ্যে বিএনপি রঙিন খোয়াব দেখছে : কাদের

পুলিশের অনুমতি ছাড়া বিএনপির সভা-সমাবেশ করার কথাকে ‘রূপকথার রাজ্যে রঙিন খোয়াব’ বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, রূপকথার রাজ্যে ‘রঙিন খোয়াব’ দেখে বিএনপির কোনো লাভ নেই। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) রাজধানীর গুলিস্তানের বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

গত ৭ জানুয়ারি ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েও পায়নি বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, গত তিন বছরে ৭ বার তাদের সমাবেশ করার অনুমতি দেয়া হয়নি। বিএনপিকে অনুমতি না দেয়ার কোনো কারণ পুলিশ দেখায়নি। বিএনপি অনুমতি না পেলেও গত মঙ্গলবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ এবং ১ জানুয়ারি সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টিও সমাবেশ করেছে।

অনুমতি না পাওয়ায় আগামীতে পুলিশের সায় না পেলেও সমাবেশের ঘোষণা দিয়ে গত বুধবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ হবে, পুলিশের অনুমতির জন্য আর অপেক্ষা করা হবে না। রিজভীর এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় একদিন পর জনাব কাদের বলেন, গত তিন বছরে যারা রাজপথে তিন মিনিটের জন্য উত্তাপ সঞ্চার করতে পারেনি, তাদের এখন রূপকথার রাজ্যে ‘রঙিন খোয়াব’ দেখে লাভ নেই।

শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে সারা দেশের নেতাকর্মীদের শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে আমি সারা দেশের জেলা-উপজেলার নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিচ্ছি, আপনারা শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ান। আর এর জন্য কোনো টাকা নয়, শীতবস্ত্র দিয়ে এসব দরিদ্র মানুষের সহায়তা করা হোক।

আওয়ামী লীগ সরকারের তিন বছরের সফলতা ও ব্যর্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি বেশি। গত ২৬ বছরে যা হয়নি, গত তিন বছরে এরচেয়ে বেশি উন্নতি হয়েছে। এটা শেখ হাসিনা সরকারের অভাবনীয় সাফল্য। তবে আমরা তো মানুষ, ফেরেশতা নই; ব্যর্থতা তো থাকবেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাত, সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ। 

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই