• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

রেগে গিয়ে গালাগালি, এগিয়ে নারীরা!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক নভেম্বর ৮, ২০১৬, ১০:৪২ পিএম
রেগে গিয়ে গালাগালি, এগিয়ে নারীরা!

ঢাকা: গালাগালি বা স্ল্যাং ব্যবহারের ক্ষেত্রে কে এগিয়ে? এমন প্রশ্নের উত্তরে স্বাভাবিকভাবেই পুরুষের দিকে আঙ্গুল ওঠে। কিন্তু ব্যাপারটা উল্টো। রেগে গিয়ে কুৎসিত ভাষা প্রয়োগ করার ব্যাপারে পুরুষের চেয়ে কয়েক কদম এগিয়ে নারী। দীর্ঘ সমীক্ষায় এই তত্ত্বে পৌঁছেছেন বিজ্ঞানীরা।

গেল নব্বইয়ের দশকে পুরুষরা প্রকাশ্যে গালাগালি দেয়া প্রায় ফ্যাশনের পর্যায়ে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। এই আচরণ ক্রমে নারীদের মধ্যে সংক্রামিত হয়। পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলতে গিয়ে তাদের বদভ্যাসটিও অজান্তে রপ্ত করে ফেলেন আধুনিক নারী। গত ২০১৪ সালের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, প্রতি ১০ লাখ শব্দ ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি বিশেষ গালাগালি পুরুষের মুখ থেকে বেরিয়েছে ৫৪০ বার। ওই একই শব্দ নারীরা বলেছেন ৫৪৬ বার।

গেল নব্বইয়ের দশকে করা সমীক্ষাতেও দেখা গেছে, সেই সময়কার একটি চলতি কথা যা গালাগালি হিসেবে ব্যবহার করা হত- তা পুরুষের তুলনায় অন্তত ৪ গুণ বেশি ব্যবহার করেছেন নারীরা। আবার ওই দশকেই দেখা গেছে, প্রতি ১০ লাখ শব্দের মধ্যে গালাগালির তালিকায় যোগ হওয়া নতুন একটি শব্দ পুরুষরা ব্যবহার করেছেন ১০০০ বার। আর নারীর মুখ থেকে শব্দটি বেরিয়েছে মাত্র ১৬৭ বার। তবে পরবর্তী দুই দশকে শব্দটি পুরুষের মুখে তুলনায় কম শোনা গেলেও নারীদের মধ্যে তার ব্যবহার বেড়ে যায়।

কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস এবং ল্যাঙ্কাস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ গবেষণায় ধরা পড়েছে, পুরুষ ও নারীর ভিন্ন শব্দ প্রয়োগের প্রচলন তামাদি হয়ে যেতে বসেছে। সমকালে দুই লিঙ্গের মধ্যে শব্দ প্রয়োগের কোনো ফারাকই থাকছে না। নারীদের কটূভাষী করে তোলার পেছনে কিন্তু পুরুষকেই দায়ী করেছেন গবেষণায় নেতৃত্বে থাকা অধ্যাপক টোনি ম্যাকএনারি। 

তবে ভাষাবিজ্ঞান সম্পর্কে সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা গেছে, যারা কথাবার্তায় স্মার্ট, গালাগালি দেয়ার অভ্যাস তাদের মধ্যে তুলনায় বেশি। প্রশ্নের চটজলদি জবাব দিতে এবং ভাষার দখলেও তারা অন্যদের চেয়ে বেশি এগিয়ে। শব্দ প্রয়োগের ব্যাপারেও তারা অত্যন্ত দক্ষ। এতোগুলি গুণের মধ্যে শুধু গালাগালি ব্যবহারই যা দোষের। 

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!