• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রোহিঙ্গা ইস্যু: মিয়ানমারের কথায় উদ্বেগ জাতিসংঘের


নিউজ ডেস্ক জানুয়ারি ১৭, ২০১৮, ০৮:৪৬ পিএম
রোহিঙ্গা ইস্যু: মিয়ানমারের কথায় উদ্বেগ জাতিসংঘের

ঢাকা: জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে বাইরে রেখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারের দেয়া প্রস্তাব নিয়ে কঠোর সমালোচনা ও উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের মহাপরিচালক এন্তোনিও গুতেরেজ।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ প্রস্তাব দিয়েছিল রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়ায় ইউএনএইচসিআরকে সংযুক্ত করা হোক। কিন্তু মিয়ানমার তা নাকোচ করে দিয়েছে। মিয়ানমারের কথায় রেডক্রিন্টকে যুক্ত করা হয়।

বুধবার(১৭ জানুয়ারি) নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে এন্তোনিও গুতেরেজ বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে চুক্তির বিষয়ে ইউএনএইচসিআরের সাথে আলোচনা করা হয়েছে। তবে চুক্তিতে সংস্থাটিকে অংশীদার করা হয়নি। অথচ এ ধরনের শরণার্থী প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ইউএনএইচসিআর জড়িত থাকে।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন হতে হবে স্বেচ্ছায়। রোহিঙ্গাদের অবশ্যই তাদের আদি বাড়িতে ফিরে যেতে দিতে হবে। তাদেরকে কোনো আশ্রয় শিবিরে রাখা যাবে না। এ বিষয়গুলো নিশ্চিত করা অত্যন্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশের আশ্রয় শিবির থেকে এসব মানুষকে মিয়ানমারের শিবিরে পাঠানো হলে তা হবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কার্যক্রম যাতে আন্তর্জাতিক মান অনুসরণ করে চলে তা নিশ্চিত করার জন্য এ প্রক্রিয়ায় ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত রাখা হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) পাস হওয়া প্রস্তাব অনুযায়ী মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘ মহাসচিবের একজন বিশেষ দূত শিগগির নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানান গুতেরেজ।

রোহিঙ্গাদের নিরাপদ, স্বেচ্ছা ও মর্যাদার সাথে প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে প্রত্যাবাসন বিষয়ক বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে সই হওয়া চুক্তি নিয়ে এক প্রশ্নে জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র হিদার ন্যুয়েট বলেছেন, দুই বছরের মধ্যে প্রত্যাবাসন শেষ করা সম্ভব না হলে প্রয়োজনে সময় পিছিয়ে দিতে হবে।

আমাদের কাছে মানুষের নিরাপদ ও স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসন সময়সীমার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কেউ নিরাপদ মনে না করলে তাকে জোর করে ফেরত পাঠানোকে আমরা সমর্থন করি না। এতে হিতে বিপরীত হবে। এ ধরনের পরিস্থিতি শরণার্থীরা চায় না, আমরা চাই না এবং কোনো জাতিও তা চাইবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!