• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে ১৯ ডিসেম্বর


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ১২, ২০১৭, ০৭:৫৭ পিএম
রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার প্রতিনিধি পাঠাচ্ছে ১৯ ডিসেম্বর

ঢাকা: জীবন বাঁচাতে নির্যাতনের মুখে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক চাপে মিয়ানমার রাজি হয়েছে তাদের ফিরিয়ে নিতে। এজন্য গঠন করা হবে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ। এজন্য মিয়ানমারের প্রতিনিধিরা আগামী ১৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসছেন।

মঙ্গলবার(১২ ডিসেম্বর) ফ্রান্সে প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী পররাষ্ট্র সচিব মো. শহীদুল হক প্যারিসে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানিয়েছেন। ঢাকাস্থ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্রও তা নিশ্চিত করেছে।

আগস্টের ২৪ তারিখের পর থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের আশ্রয় নেয়া শুরুর পর আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে গত মাসে শরণার্থীদের ফেরত নিতে সম্মত হয় মিয়ানমার।

দুই দেশের স্বাক্ষরিত সম্মতিপত্রে বলা হয়, একটি জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হবে এবং একটি চুক্তি স্বাক্ষরের ক্ষেত্র তৈরি করবে। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, মিয়ানমারের ওয়ার্কিং গ্রুপের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে ১৯ তারিখে আসবে এই দ্বিপাক্ষিক চুক্তির ইমপ্লিমেনটেশন ও ইনটিগ্রিটি ঠিক করতে।

গত ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা।

সম্মতিপত্র অনুযায়ী, প্রথম দফায় শুধু এবারে আসা শরণার্থীদের ফেরত নেবে মিয়ানমার।

এবার গণহত্যা ও ধর্ষণের মতো দমন-পীড়নের শিকার হয়ে রোহিঙ্গারা পালিয়ে আসার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ব্যাপক সমালোচনার মুখে রয়েছে মিয়ানমার। মিয়ানমারে যা ঘটছে, তাকে জাতিসংঘ চিহ্নিত করেছে জাতিগত নির্মূল অভিযান হিসেবে।

বাংলাদেশ এবার আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে যুক্ত করে নতুন চুক্তির কথা বললেও শেষ পর্যন্ত ১৯৯২ সালের চুক্তির অনুসরণেই সম্মতিপত্র হয়েছে। আগের শরণার্থীদের ফেরত নিতে বাংলাদেশের বারবার আহ্বানে ১৯৯২ সালে মিয়ানমারের সামরিক সরকার শরণার্থীদের ফিরিয়ে নিতে একটি প্রত্যাবাসন চুক্তি করে।

রোহিঙ্গাদের নিজ দেশের নাগরিক হিসেবে মানতে নারাজ মিয়ানমার তখন তাদের ‘মিয়ানমার সমাজের সদস্য’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

ওই চুক্তির আওতায় মিয়ানমার সে সময় ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫৯৯ জন রোহিঙ্গাকে দেশে ফিরিয়ে নেয়। চুক্তি নির্ধারিত যাচাই প্রক্রিয়ায় আরও ২৪১৫ জন শরণার্থীকে সে সময় মিয়ানমার থেকে আসা বলে চিহ্নিত করা হলেও মিয়ানমার তাদের আর ফিরিয়ে নেয়নি।

এবারও শরণার্থী ফেরত পাঠানোর সফলতা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বাংলাদেশের নানা মহলে।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!