• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১
লক্ষ্য আগামী নির্বাচন

রোহিঙ্গা ইস্যুর ইমেজ কাজে লাগাতে চায় আ. লীগ


সোনালী বিশেষ অক্টোবর ২৮, ২০১৭, ০৩:৪৭ পিএম
রোহিঙ্গা ইস্যুর ইমেজ কাজে লাগাতে চায় আ. লীগ

ঢাকা : মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে দেশে-বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে সরকার ও ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই অর্জন ধরে রাখতে চায় তারা। এই সুনাম ধরে রাখা গেলে নির্বাচনে সুফল পাওয়া যাবে বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা।

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে অন্তত দুটি বড় অর্জন হয়েছে আওয়ামী লীগের। আন্তর্জাতিক মহলে ক্ষমতাসীন দল তথা সরকারের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হওয়ার পাশাপাশি দেশে জনসমর্থনও বেড়েছে। এ দুটি অর্জন আগামী নির্বাচনে বড় সুফল বয়ে আনবে বলে ধারণা আওয়ামী লীগের।

দলটির সভাপতি ও সম্পাদকমণ্ডলীর বেশ কয়েকজন নেতা বলেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর আন্তর্জাতিক মহলের সঙ্গে সম্পর্কের কিছুটা টানাপড়েন সৃষ্টি হয়।

ফলে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পিছিয়ে পড়তে শুরু করে সরকার। নানা কৌশলে এই সম্পর্কের উন্নতি ঘটিয়ে এগিয়ে যায় সরকার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলের আস্থা পুরোপুরি অর্জন করা সম্ভব হয়নি।

এরই মধ্যে রোহিঙ্গা ইস্যুটি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সম্পর্কোন্নয়নে সরকারের জন্য  বড় হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে। বিশ্বের সবগুলো দেশই এ ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের প্রশংসা করে।

আন্তর্জাতিক শক্তিশালী সংগঠনগুলোসহ প্রায় সব দেশ বাংলাদেশের পাশে দাঁড়ায়। শেখ হাসিনাকে সাধুবাদ জানায়। শুধু তাই নয়, এই ইস্যুটি শেখ হাসিনাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যায়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একাধিক সদস্য বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের ভ‚মিকা ও শেখ হাসিনার সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সরকার প্রশংসা কুড়িয়েছে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুটি নিয়ে ইতিমধ্যে সরকারের ঝুড়িতে অনেক অর্জন যোগ হয়েছে। এই ইস্যুটি সন্তোষজনকভাবে মীমাংসা করা সম্ভব হলে নির্বাচনী মাঠেই শুধু নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে সরকার তথা আওয়ামী লীগ সুফল পাবে। একইসঙ্গে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন শেখ হাসিনাও।’

দলটির নীতিনির্ধারকরা মনে করেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ায় আওয়ামী লীগের জনসমর্থনও বেড়েছে। নীতিনির্ধারকদের হিসাব অনুযায়ী, মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশের জনগণ ধর্মভীরু। পাশাপাশি অতিমাত্রায় মানবিকও।

তবে সুবিধাজনক অবস্থানে এনে দেয়া এই রোহিঙ্গা ইস্যুই সরকারকে বেকায়দায়ও ফেলে দিতে পারে- এমন আশঙ্কাও করছেন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকদের একটি অংশ।

তারা মনে করেন, রোহিঙ্গাদের অপব্যবহার করার সুযোগ মিললে ইস্যুটি সরকারের জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এজন্য বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কড়া নজরদারিতে রাখার পক্ষে তারা। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কারা আসছে, কারা যাচ্ছে এসব দেখভাল করতে হবে।

রোহিঙ্গাদের হীন রাজনীতির জন্য ব্যবহার করার কোনও ষড়যন্ত্র হয় কিনা, সে বিষয়েও নজরদারি বাড়াতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিরবচ্ছিন্ন নজরদারি রাখতে হবে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!