• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে প্রমাণ নষ্ট করা হচ্ছে: অ্যামনেস্টি


নিউজ ডেস্ক সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৭, ০৪:৫৪ পিএম
রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে প্রমাণ নষ্ট করা হচ্ছে: অ্যামনেস্টি

ঢাকা: ভূ-উপগ্রহ চিত্রে রোহিঙ্গা গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার চিহ্ন দেখতে পাওয়ার কথা জানিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশাল। আন্তর্জাতিক এ সংস্থাটি বলছে, থেমে থেমেই রোহিঙ্গা গ্রাম পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। এতে পরবর্তীতে তারা ফিরলেও আশ্রয়হীন হয়ে থাকতে হবে নিজ দেশেও।

অং সান সু চি জাতির ভাষণে এবং মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাতিসংঘে দাবি করলেও রাখাইনে যে এখনও রোহিঙ্গাদের বাড়ি পোড়ানো হচ্ছে, তার প্রমাণ তুলে ধরেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশাল।

স্থানীয়ভাবে পাওয়া ভিডিও এবং উপগ্রহ চিত্র বিশ্লেষণ করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থাটি শুক্রবার বলেছে, রোহিঙ্গারা ফিরলে যে থাকবে, সেই উপায়ও রাখছে না মিয়ানমারের সেনাবাহিনী।

গত ২৫ অগাস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে সেনা অভিযান শুরুর পর থেকে হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়ার খবর আসতে থাকে। রোহিঙ্গাদের জাতিগত নির্মূল অভিযান নিয়ে সমালোচনার মুখে গত ১৯ সেপ্টেম্বর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর সু চি বলেছিলেন, ৫ সেপ্টেম্বরের পর রাখাইনে সেনা অভিযান চলছে না।

দুদিন আগে জাতিসংঘে ভাষণে মিয়ানমারের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভান থিও বলেন, রাখাইনে পরিস্থিতি শান্ত হয়ে এসেছে।

তাদের বক্তব্যের পর অ্যামনেস্টি শুক্রবার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানায়, রাখাইনে এখনও যে বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়া হচ্ছে, তার অন্তত তিনটি ভিডিও পেয়েছেন তারা।

২২ সেপ্টেম্বরের উপগ্রহ চিত্রেও রোহিঙ্গা গ্রামে জ্বালিয়ে দেওয়া ঘর থেকে ওড়া ধোঁয়া চিহ্নিত করার কথাও জানায় মানবাধিকার সংস্থাটি। অ্যামনেস্টির ক্রাইসিস রেসপন্স পরিচালক তিরানা হাসান বলেন, এই প্রমাণ অং সান সু চির বক্তব্যের অসারতা তুলে ধরেছে।

“তিন সপ্তাহ পরেও আমরা দেখছি, রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতার অবসান হয়নি। রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর, গ্রাম জ্বলছেই। মনে হচ্ছে, রোহিঙ্গাদের ফেরার কোনো উপায়ই রাখা হচ্ছে না।”

রাখাইনে এই জাতিগত নির্মূল অভিযান বন্ধে মিয়ানমারকে চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।

মিয়ানমারে দমন-পীড়নের শিকার ৪ লাখ রোহিঙ্গা গত তিন সপ্তাহে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আগে থেকে ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে বাংলাদেশে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!