ঢাকা : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের ওপর নিপীড়নের সঙ্গে সম্পৃক্তদের বিচারে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট। এবারের বিশ্ব শরণার্থী দিবস উপলক্ষে লেখা তার এক নিবন্ধে এ কথা উল্লেখ করেন তিনি।
নিবন্ধে বার্নিকাট লিখেছেন, নির্যাতিত মানুষদের ন্যায়বিচার পাওয়া এবং নৃশংসতা ও অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনে জড়িতদের উপযুক্ত বিচার নিশ্চিত করার জন্য সম্ভাব্য সব উপায় খতিয়ে দেখতে আমরা বন্ধু দেশ ও সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করছি।
তিনি আরো লিখেছেন, উচ্চপর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে আমরা বার্মার (মিয়ানমার) সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে এই সঙ্কট নিরসনে একটি গঠনমূলক ভূমিকা রাখার আহ্বান অব্যাহত রেখেছি। এজন্য আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠা, অবিলম্বে উপদ্রুত এলাকায় মানবিক সহায়তা ও গণমাধ্যমের অবাধ প্রবেশের সুযোগ দান এবং স্বেচ্ছায় নিজেদের আবাসভূমিতে ফিরতে ইচ্ছুক মানুষ যাতে তা নিরাপদে ও মর্যাদার সঙ্গে করতে পারে তার নিশ্চয়তা প্রয়োজন। রাখাইন রাজ্যে সংঘাতের মূল কারণ চিহ্নিত করে তা সমাধানের ওপরও জোর দিয়েছেন মার্কিন রাষ্ট্রদূত।
তিনি কক্সবাজারে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের প্রাণহানি ঠেকাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে বলেন, এ বছরের বিশ্ব শরণার্থী দিবসে বাংলাদেশ যেন আশা ও উদ্দীপনার এক আলোকবর্তিকা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
২০১৭ সালের আগস্ট থেকে বার্মায় চলা জাতিগত নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে পালিয়ে আসা ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে প্রাণে বাঁচিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের জন্য স্থিতিশীল ভবিষ্যতের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে বার্মার সঙ্গে কাজ করছে।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০০১ সাল থেকে জুন মাসের ২০ তারিখ আন্তর্জাতিক শরণার্থী দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
সোনালীনিউজ/এমটিআই
আপনার মতামত লিখুন :