• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মিয়ানমার


আন্তর্জাতিক ডেস্ক  জানুয়ারি ২, ২০১৭, ০৫:৩৮ পিএম
রোহিঙ্গা নির্যাতনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মিয়ানমার

ঢাকা: এ পর্যন্ত মিয়ানমার সরকার বলে এসেছে রাখাইন রাজ্যে আইন মেনেই নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করেছে। এই প্রথম সরকার বললো রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনায় ব্যবস্থা নেবে।

সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া রোহিঙ্গা নির্যাতনের একটি ভিডিওকে প্রথমবারের মতো আমলে নিয়ে এমন ঘোষণা দিয়েছে মিয়ানমার সরকার।

সোমবার (২ জানুয়ারি) বিবিসি অনলাইনের এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ভিডিওটি করেছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ভিডিওটি আমলে নিয়েছে মিয়ানমারের সরকার। এর আগে রোহিঙ্গারা বিভিন্ন সময়ে রাখাইন রাজ্যের তাদের উপর নির্যাতনের চিত্র প্রকাশ করলেও সরকার তা বরাবরই প্রত্যাখ্যান করে আসছিল। মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষ এখন প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তারা ওই ভিডিওটির প্রেক্ষাপটে পদক্ষেপ নেবে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্রকাশিত ও পুলিশের তোলা ভিডিওতে দেখা গেছে, পুলিশ কর্মকর্তারা রোহিঙ্গা মুসলমানদের মারধর করছে। সরকারের দেয়া এক বিবৃতিতে বিষয়টি স্বীকার করে নিয়ে বলা হয়েছে এই ঘটনা নভেম্বরে রাখাইন রাজ্যে সংঘর্ষের দুইদিন পরেই ঘটেছে। ওই ঘটনায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়।

এর আগে রোহিঙ্গাদের ধারণ করা একই ধরণের নির্যাতনের ভিডিও বিভিন্ন মাধ্যমে এলেও সেগুলো নকল বলে বাতিল করে দিয়েছিল সরকার। এমনকি, ওই এলাকায় গত তিন মাস ধরে কোনো পর্যবেক্ষকের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ৯ অক্টোবর বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তবর্তী রাখাইন রাজ্যের কয়েকটি সীমান্ত ফাঁড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এরপর থেকে সেখানে সেনা উপস্থিতি বাড়ায় দেশটির সরকার। সাংবাদিক ও সাহায্যকর্মীদের প্রবেশও নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর স্থানীয় বাসিন্দা ও মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করেন, রাখাইন অঞ্চলের মানুষের ওপর মিয়ানমারের সেনারা নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন। সেখানকার নারীদের ধর্ষণ করা হচ্ছে এবং বাড়িঘরে আগুন দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের। ২০১২ সালে রোহিঙ্গাদের রাখাইন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে কয়েকশ মানুষ নিহত হওয়ার পর প্রথমবারের মতো সেখানে সবচেয়ে সহিংস অবস্থা চলে। 

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গার বাস। তবে মিয়ানমার সরকার তাদের নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে। আর এ কারণে অনেকে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বাংলাদেশে পাড়ি জমায়।

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!