• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে বলেছে আনান কমিশন


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ১৭, ২০১৭, ০৯:১৪ পিএম
রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দিতে বলেছে আনান কমিশন

ঢাকা: মিয়ানমারের সরকারি বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত ও হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন সংখ্যালঘু রোহিঙ্গারা। তাদেরকে নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়া ও নাগরিকত্ব দেযার কথা বলেছেন আনান কমিশন। এজন্য বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এই দুই দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা প্রয়োজন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

রাখাইন রাজ্যের সব জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব নিশ্চিত করতে মিয়ানমার সরকারকে পরিচয় যাচাইয়ে একটি সমন্বিত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব দিয়েছে রাখাইন রাজ্যবিষয়ক পরামর্শক কমিশন। মিয়ানমারে নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে পরিচয় যাচাইয়ের প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন থাকায় রোহিঙ্গা এবং রাখাইন সম্প্রদায়ের লোকজন নাগরিকত্ব নিতে অনীহা প্রকাশ করেছে।

জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বাধীন কমিশন তাদের সুপারিশে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়াসহ দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে একটি যৌথ কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে। আন্তর্জাতিক আইন মেনে যৌথ পরিচয় যাচাই শেষে মিয়ানমারের লোকজনকে দেশে ফেরার পথ সুগম করবে ওই কমিশন।

রাখাইন রাজ্যবিষয়ক পরামর্শক কমিশন সংক্ষেপে যা আনান কমিশন নামে পরিচিত, আজ বৃহস্পতিবার তাদের অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করেছে। কমিশনের ওয়েবসাইটে আজ অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনটি প্রচার করা হয়েছে। বাংলাদেশের সীমান্তের লাগোয়া রাখাইনের সব জনগোষ্ঠীর অবস্থা, সেখানকার সহিংসতা, বাস্তুচ্যুতি এবং উন্নয়নে পিছিয়ে থাকার কারণ খুঁজে নিয়ে তা বিশ্লেষণের জন্য মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ২০১৫ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ওই কমিশন গঠন করেন। কফি আনানের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের ওই কমিশনের ছয়জন মিয়ানমারের বিশিষ্ট নাগরিক। কমিশনের আগস্টের শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়ার কথা রয়েছে।

রাখাইনের সব জনগোষ্ঠীর নাগরিকত্ব নিশ্চিতের ওপর গুরুত্ব দিয়ে কমিশনের সুপারিশে বলা হয়েছে, জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের কার্ড ছাড়াই সব শিশু এবং নাগরিকদের বংশধরেরা যাতে আপনা-আপনি নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারে, তা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। নাগরিকত্বের আওতায় শিশুদের আনার বিষয়টি নিশ্চিত করতে সরকারকে প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে জন্মনিবন্ধনের জন্য একটি সমন্বিত প্রচারণা চালাতে হবে। নাগরিক হিসেবে যাদের পরিচয় নিশ্চিত হবে, চলাফেরাসহ তাদের সব ধরনের নাগরিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

আনান কমিশন সহিংসতার কবলে পড়া রাখাইনের সব নাগরিকের জন্য কোনো রকম প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে বলেছে। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী লোকজনকে বিচারের আওতায় আনতে একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্তের প্রস্তাব করেছে।

অন্তর্বর্তীকালীন প্রতিবেদনটিতে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়াসহ দুই প্রতিবেশীর সম্পর্কোন্নয়নে যৌথ কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে। কমিশন মনে করে, দুই দেশের জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত কমিশন আন্তর্জাতিক আইন মেনে রোহিঙ্গাদের স্বদেশে ফেরার পাশাপাশি মানব, মাদক ও অবৈধ বাণিজ্য, অবৈধ অভিবাসন বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।

আন্তসীমান্ত সন্ত্রাস বন্ধে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় ও সহযোগিতা বাড়াবে।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School
Link copied!