রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে কূটনৈতিকভাবে ব্যর্থ সরকার

কক্সবাজার: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ক্ষেত্রে কূটনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকার।

সোমবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার ময়নাঘোনা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ত্রাণ বিরতরণকালে তিনি এ কথা বলেন।

খালেদা জিয়া বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার রোহিঙ্গাদের সমস্যা নিয়ে আন্তরিক নয়। রোহিঙ্গাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে সরকার যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা যথেষ্ট নয়।

মিয়ানমার সরকার যেন রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয় এবং তাদের প্রতি জুলুম-নিধনযজ্ঞ বন্ধ করে সসম্মানে বসবাসের সুযোগ দেয়, সেই আহ্বানও জানান বিএনপি চেয়ারপারসন।

রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণকারী বিশাল রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠিকে যেন মিয়ানমার সরকার দ্রুত ফিরিয়ে নেয়, সেজন্য আন্তর্জাতিকভাবে কার্যকর চাপ প্রয়োগ করতে হবে। যাতে রোহিঙ্গাদের সেদেশের সরকার ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হন।

খালেদা জিয়া বলেন, রোহিঙ্গাদের পাশে বিএনপি শুরু থেকেই আছে। বরং সরকার প্রথমে তাদের আশ্রয় দিতে চায়নি। রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে আমিও প্রথম সরকারকে অনুরোধ করেছি। আমাদের নেতাকর্মীরা শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।

এ সময় খালেদা জিয়া কয়েকজন রোহিঙ্গা নারীর মুখ থেকে তাদের ওপর নিপীড়নের বর্ণণা শুনে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং তাদের ধৈর্য ধরার আহ্বানও জানান।
সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়ার জন্য সেনাবাহিনীর সদস্যরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছে। তাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরে এসেছে। এছাড়া সারা দেশের মানুষ রোহিঙ্গাদের প্রতি যে সহমর্মিতা এবং মানবিকতা প্রদর্শন করছে তা অভুতপূর্ব।

এর আগে বিশাল গাড়ীর বহর নিয়ে ক্যাম্পে পৌঁছেন তিনি। রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শনকালে খালেদা জিয়া উখিয়ার চারটি ক্যাম্পে ত্রাণ বিরতণ করছেন। ত্রাণ বিতরণকালে তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও নজরুল ইসলাম খানসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম