• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

র‌্যাগিংয়ের নামে রাবি শিক্ষার্থীকে অমানুষিক নির্যাতন


সাঈদ সজল, রাবি জানুয়ারি ২৭, ২০১৮, ১২:৩২ পিএম
র‌্যাগিংয়ের নামে রাবি শিক্ষার্থীকে অমানুষিক নির্যাতন

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিং নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ১২ টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত তাকে নির্যাতন করা হয়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর নাম ফাহাদ বিন ইসমাঈল।

তিনি ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি নারায়ণগঞ্জে।

ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ঢাকায় বসবাস হওয়ায় আমার চুলের স্টাইল, চলাফেরা, কথা-বার্তা ঢাকার ছেলেদের মত। এটা দেখে বিভাগের তৃতীয় বর্ষের কিছু ভাইয়ের দৃষ্টিকটু হয়। আমাকে চুল কাটতে বলে। না কাটলে বিভিন্ন ভয়ভীতী দেখায়। পরে আমাকেসহ কয়েকজন সহপাঠীকে ডেকে বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বিভিন্ন উপদেশ দেন।

চতুর্থ বর্ষের ভাইদের সাথে সাক্ষাৎ করার ফলে তৃতীয় বর্ষের কয়েকজন ভাই আমার ক্ষিপ্ত হয়। পরে দ্বিতীয় বর্ষের ভাইদের দ্বারা আমাদের জামাকাপড় খুলে তারা নানা ধরনের নির্যাতন করে। এসময় বড় ভাইয়ারা আমাকে হুমকি দিয়ে বলেন, এই বিভাগে তোমার ভালো রেজাল্ট করার সুযোগ নেই। এখন তোমার বাঁচার কোন রাস্তা নাই।

তিনি আরও বলেন, ওই দিন বিকেলে ৪ টার পর ওই ভাইয়া আর আপুরা আমাকে কৃষি অনুষদ ভবনের বাইরে মাঠের মধ্যে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও নানা রকম মানসিক নির্যাতন করে। নির্যাতনের সময় আমার মা বেশ কয়েকবার কল দিলেও তারা রিসিভ করতে দেয়নি তারা। পরে সন্ধ্য রাত ৭টার দিকে আমাকে ছেড়ে দেয়।

মেসে যাওয়ার পর মা আমাকে ফোন করে তখন ঘটনাটি খুলে বলি। বলা শেষ হলে মা ভয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। মা এখন হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় আছেন। পরবর্তীতে আমার বাবা আমাকে ফোন করে বলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার দরকার নেই। তারা আমাকে বাড়িতে ডেকে পাঠায়। পরে আমি বাসায় চলে আসি।

এবিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমি শুনলাম। ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। যদি সত্যি হয়ে থাকে, তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে বিভাগের পক্ষ থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে এমন অপকর্মে কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনাটি সাংবাদিকদের মাধ্যমে শুনলাম চেয়ারম্যানকে আমি জানাব। যদি বিভাগ থেকে পদক্ষেপ না নেয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!