• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লজ্জায় ডুবল জাপা, ভেঙে দেয়া হলো মহানগর কমিটি


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ১৯, ২০১৮, ০৩:৪১ পিএম
লজ্জায় ডুবল জাপা, ভেঙে দেয়া হলো মহানগর কমিটি

ঢাকা : খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) নির্বাচনে গতবারের মতো এবারো জামানত হারিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) প্রার্থী। মাত্র ১ হাজার ৭২ ভোট পেয়ে এসএম মুশফিকুর রহমানের শোচনীয় পরাজয়ের ঘটনায় ব্যর্থতার দায়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে দলের খুলনা মহানগর কমিটি। ২০১৩ সালের কেসিসি নির্বাচনে দলটির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধুও জামানত হারিয়েছিলেন।

কেসিসি নির্বাচনের শুরু থেকেই জয়-পরাজয় ছাপিয়ে জাতীয় পার্টির কাছে মুখ্য হয়ে উঠেছিল সম্মানজনক ভোটপ্রাপ্তি। দলের মেয়র প্রার্থীর বিরুদ্ধে হত্যাসহ একাধিক মামলা এবং নানা অভিযোগ থাকায় দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা মধ্যে ইমেজ সঙ্কটে ছিলেন। এক সময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকা মুশফিকুরের জামানত রক্ষায় ভোটের প্রচারণা চালান জাপার শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা। কিন্তু তারপরও কাজ হয়নি।

জাপার এক প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেন, দুর্গখ্যাত রংপুর সিটি করপোরেশনে লাখো ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে জাপার মেয়র প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান জয় পেয়েছিলেন। এরপর গাইবান্ধা-১ আসনে উপনির্বাচনেও জাপার প্রার্থী ব্যারিস্টার শামীম পাটোয়ারী আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে জয়ী হন। কিন্তু খুলনা সিটি নির্বাচনে এ ধরনের ফল দলের নেতাকর্মীরা কেউ প্রত্যাশা করেননি।

তিনি বলেন, বর্তমানে সারা দেশে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের জনপ্রিয়তা ও গণজোয়ারকে কাজে লাগিয়ে খুলনায় দলের প্রার্থী ভালো ফল করবেন- এটাই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু মুশফিক আমাদের আহত করেছেন। দলের সুনাম ক্ষুণ্ন করেছেন।

জাতীয় পার্টির মনোনয়ন বোর্ডের এক প্রভাবশালী সদস্য বলেন, খুলনা সিটি নির্বাচনে মুশফিকুরকে মেয়র প্রার্থী দেওয়ার বিরোধিতা করেছিলেন দলের বেশ কয়েকজন সিনিয়র সদস্য। কিন্তু পার্টির চেয়ারম্যান নির্বাচনের এক বছর আগেই মুশফিককে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ায় তাকে প্রার্থী করা হয়।

এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাতে রাজি হননি জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার। তবে দলটির যুগ্ম দফতর সম্পাদক এমএ রাজ্জাক খান জানান, সদ্য সমাপ্ত কেসিসি নির্বাচনে ভোট বিপর্যয়ের জন্য খুলনা মহানগর জাতীয় পার্টির কমিটির ব্যর্থতাকে দায়ী করে আহ্বায়ক কমিটি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দলের চেয়ারম্যান গঠনতন্ত্রের ২০/১/ক ধারা মোতাবেক এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।

এদিকে কেসিসি নির্বাচনের এই ফলকে পাত্তা দিতে চাইছেন না দলটির প্রেসিডিয়াম সদস্য এসএম ফয়সল চিশতি। তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু আগামী সংসদ নির্বাচনের পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। স্থানীয় নির্বাচন নিয়ে ভাবছি না।’ কেসিসিতে ভোট বিপর্যয় সংসদ নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন জাপার এই নেতা।  

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!