• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লাগাহীনভাবে বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম


লালমনিরহাট প্রতিনিধি মে ২১, ২০১৮, ০৪:৩৭ পিএম
লাগাহীনভাবে বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম

লালমনিরহাট : রমজানের শুরুতেই লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজারগুলোতে নিত্যদ্রব্যের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে বেগুনের দাম বাড়িয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। এ ছাড়াও বেড়েছে চাল, ডাল, চিনি, ছোলা, পেঁয়াজ, রসুন, আদা-লবণসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সকল দ্রব্যের দাম। যেন দাম বাড়াতেই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।

দাম বাড়ার কারণে ক্রয় ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্যে আয়ের মানুষ।
রমজানের দ্রব্য হিসাবে পরিচিত ছোলা, চিনি, পেয়াজ, মসুর ডালের দাম প্রতিদিন ৪-৫ টাকা করে বাড়ছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানকে কেন্দ্র করে হাতে গোনা কিছু ব্যবসায়ী দ্রব্য গুদাম জাত করে রেখেছে। বাজার মনিটরিংয়ের অভাবেই তারা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দিন দিন দাম বাড়িয়েই দিচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায় কোনো দোকানেই মূল্য তালিকা টাঙানো হয়নি। বাজারে নেই কোনো তদারকিও। এই সুযোগে ক্রেতা থেকে ইচ্ছে মতো দাম নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। বিক্রেতারা জানান, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি বেগুনের দাম ছিল ৩০ টাকা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা দরে।

এ ছাড়াও ছোলার দাম ছিল প্রতিকেজি ৫৫-৬০ টাকা যা বর্তমানে ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই অবস্থা পেঁয়াজের ক্ষেত্রেও। দেশে উৎপাদিত ও আমদানি করা পেঁয়াজ কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্রি হয়েছে ৩৩-৪০ টাকা ও ৩৫-৪০ টাকা দরে। বর্তমানে কেজিপ্রতি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ টাকা ও আমদানি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বেড়েছে চিনির বাজার দর প্রতিকেজি ৪৫ টাকা থেকে বেড়ে এখন ৫৫ টাকায় কিনতে হচ্ছে ভোক্তাদের ।

খুচরা ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চিনির দাম বেড়েছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। ছোট দানার দেশি মসুর ডাল কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে বর্তমানে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা মোটা মসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। এ ছাড়াও মুখ ডাল, খেসারি ডাল, বুটসহ সব ধরনের ডাল কেজিতে বেড়েছে ৫ থেকে ১০ টাকা । গরুর মাংস ৪২০ থেকে বেড়ে ৫০০ টাকায় ও বয়লার ১২০ থেকে বেড়ে ১৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। মাছের দামও বেড়েছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা।

স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, নিত্যপণ্যের দাম নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় বা টিসিবি’র কোনো নির্দেশনা ও মূল্য তালিকা তারা পাননি। আর এ জন্যই প্রতিদিন ক্রেতাদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে।

গেল ২ সপ্তাহে বিভিন্ন জাতের চালের দাম বেড়েছে কেজিতে ৩ থেকে ১০ টাকা। মান ভেদে বিভিন্ন মিনিকেট ৪২ থেকে ৪৫ টাকা, বি আর ২৯ ও ২৮ জাতের চাল ৩৪ থেকে ৩৬ টাকা, নাজিরশাইল ৪৫ থেকে ৫২ টাকা, স্বর্ণা ৩৪ থেকে ৩৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারের এই অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

বড়খাতা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তাফা জামাল সোহেল বলেন, বাজার মনিটরিং না হলে জন দুর্ভোগ দিন দিন বাড়তেই থাকবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা নুর কুতুবুল আলম জানান, নিয়মিত বাজার মনিটরিং চলছে। রমজান মাসকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে আমাদের মনিটরিং আমরা আরও বাড়িয়ে দিয়েছি। কোথাও কোনো অসংগতি দেখলেই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।  

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!