• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লিভ টুগেদার নিষিদ্ধ করছেন ট্রাম্প!


আন্তর্জাতিক ডেস্ক ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭, ১০:২৭ পিএম
লিভ টুগেদার নিষিদ্ধ করছেন ট্রাম্প!

ঢাকা: শরণার্থী ও অভিবাসীসহ বেশ কয়েকটি ইস্যুর পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার লিভ-টুগেদার(বিয়ে বহির্ভূত যৌন সম্পর্ক) নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে। একইসঙ্গে নিষিদ্ধ করা হতে পারে সমকামী বিয়ে ও গর্ভপাত। ট্রাম্প প্রশাসনের এ সংক্রান্ত একটি পরিকল্পনার খসড়া ফাঁস করেছে সংবাদমাধ্যম দ্য নেশন।

পশ্চিমা বিশ্বের মধ্যে বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এগুলো স্বাভাবিক ঘটনা। তাদের সমাজ ব্যবস্থায় এই বিষয়গুলোকে সমর্থন দেয়া আছে। যদিও খ্রীস্টান ধর্মীয় বিশ্বাস তা সমর্থন করে না।

ট্রাম্পের ক্ষমতা নেয়ার পরে বার্ষিক গর্ভপাত বিরোধী র‌্যালি এবার ভিন্ন মাত্রা পায়। ওয়াশিংটনে আয়োজিত এ র‌্যালিতে সমবেত হন লাখো মানুষ। ট্রাম্পের সমর্থনে তাদের মধ্যে বিশেষ উদ্দীপনা দেখা যায়। দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো ভাইস প্রেসিডেন্ট এ আয়োজনে বক্তব্য দেন। তখনই এই ধরনের কোনো কিছু হতে পারে বলে আন্দাজ করেছিলেন বিশ্লষকরা।

খসড়ায় বলা হয়েছে, প্রচলিত কিছু ধর্মীয় বিশ্বাসের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নির্বাহী আদেশ জারি করতে চান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এর আওতায় বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক বা লিভ টুগেদার এবং সমকামী বিবাহের বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে প্রচলিত ধর্মভিত্তিক যে মূল্যবোধ আছে, তার আইনগত ভিত্তি দিতে চান তিনি। একইসাথে গর্ভপাতকেও নিষিদ্ধ করতে চান। এমনকি যেসব প্রতিষ্ঠান সমকামী বিবাহ ও বিবাহ বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্কের বিরুদ্ধে কাজ করে তাদেরকে করমুক্ত সুবিধা দেয়ার পরিকল্পনাও নেয়া হয়েছে।

যদিও ট্রাম্প এ পরিকল্পনার পেছনে ধর্মীয় স্বাধীনতার প্রতি সম্মান প্রদর্শনকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছেন, কিন্তু বাস্তবিক অর্থে এর মাধ্যমে রক্ষণশীল খ্রিস্টান ও ক্যাথলিক ধর্মীয় বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করা হচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এ আদেশের ফলে দীর্ঘদিন থেকে নিজেদের অধিকারের পক্ষে আন্দোলন করে আসা তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তি, এলজিবিটি সম্প্রদায় ও নারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কেননা তখন এ ধরনের আন্দোলন ও তৎপরতা শাস্তিমূলক অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

এমনকি ট্রাম্প এ সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশ জারি করলে, তা মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীর (এস্টাবলিমমেন্ট ক্লজ)  ধারা ক্ষুণ্ণ হবে। এ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্র থেকে গির্জাকে আলাদা করা হয়েছে, দুই প্রতিষ্ঠানের কর্মকাণ্ডের মধ্যে সীমারেখা টেনে দেয়া হয়েছে। নেশনের প্রতিবেদনের পর এখনো এ বিষয়ে মুখ খুলেননি ট্রাম্প প্রশাসন। হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পেইসার দ্বিধাদ্বন্দ্ব মেশানো ভাষায় বলেন, এ ধরনের আদেশ জারি হতেও পারে, আবার নাও হতে পারে। তাই, এখনই এ বিষয়ে আমাদের কিছুই বলার
নেই।

সোনালীনিউজ/আতা

Wordbridge School

আন্তর্জাতিক বিভাগের আরো খবর

Link copied!