• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

লিভারের সুস্থতায় তেঁতুল


স্বাস্থ্য ডেস্ক মে ২৫, ২০১৭, ১২:১২ পিএম
লিভারের সুস্থতায় তেঁতুল

ঢাকা : তেঁতুল আমাদের দেশের বসন্তকালের টকজাতীয় ফল হলেও সারা বছর পাওয়া যায়। অনেকেরই ধারণা তেঁতুল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং তেঁতুল খেলে রক্ত পানি হয়। এ ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বরং তেঁতুলে রয়েছে প্রচুর পুষ্টি ও ভেষজ গুণ। তেঁতুল দেহে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এবং হৃদরোগীদের জন্য খুব উপকারী। তেঁতুল দিয়ে কবিরাজি, আয়ূর্বেদীয়, হোমিও ও এলোপ্যাথিক ওষুধ তৈরি করা হয়। পাকা তেঁতুলে মোট খনিজ পদার্থ সব ফলের চেয়ে অনেক বেশি।

রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখা ও শরীরে ভিটামিন, মিনারেল, গ্লাইকোজেনের মাত্রা ঠিক রাখতে কোনও অঙ্গই লিভারের বিকল্প হতে পারে না। তাই লিভার সুস্থ রাখা সুস্বাস্থ্যের প্রথম ধাপ। লিভারে সামান্য ফ্যাট জমলে তা বিশেষ চিন্তার কিছু নয়। কিন্তু যদি লিভারের ওজনের ৫-১০ শতাংশই ফ্যাট হয়ে যায় তা হলে স্টিটোসিস বা ফ্যাটি লিভার বলা হয় সেই অবস্থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই সমস্যার প্রথম লক্ষণ দেখা দিতে অনেক বছর লেগে যায়। পেটের উপরের ও মাঝের দিকে যন্ত্রণা, বমি ভাব, ক্লান্তিু, খিদে কমে আসা, মনসংযোগের অভাব হয়।

তেঁতুল লিভার ও পুরো শরীর থেকে অতিরিক্ত ফ্যাট দূর করতে সাহায্য করে। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে রান্নার অন্যতম উপাদান তেঁতুল। রসালো ও সুস্বাদু ফল তেঁতুল দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতের রান্নাতেও প্রচুর ব্যবহৃত হয়। টাটকা কাঁচা তেঁতুল এক বছর রেখে দিলেও নষ্ট হয় না, গন্ধও থাকে অক্ষত।

তেঁতুলের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ মিনারেল, ভিটামিন ও ডায়েটারি ফাইবার। তেঁতুলের ক্কাথ পলিস্যাকারাইড বা ডায়েটারি ফাইবার যেমন টায়ারস, হেমিসেলুলোজ, পেকটিন, মিউকাস ও ট্যানিনের উত্কৃষ্ট উত্স। ১০০ গ্রাম ক্কাথে ৫১ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার থাকে। এই ফাইবার খাবারের টক্সিন শরীরে পৌঁছতে দেয় না।  কোলনকে টক্সিনের হাত থেকে রক্ষা করে।

এ ছাড়াও তেঁতুলে থাকে ওয়াইন অ্যাসি়ড, টার্টারিক অ্যাসিড। যা খুবই শক্তিশালী অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট। কপার পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, আয়রন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম ও ভিটামিন সি, নিয়াসিন, থিয়ামিন, ফোলিক অ্যাসিড, রাইবোফ্লাভিনে ভরপুর তেঁতুল। এই সব ভিটামিনের অধিকাংশই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে।  

এক লিটার পানিতে দু’মুঠো তেঁতুল দিয়ে ব্লেন্ডারে ক্কাথ তৈরি করে নিন। সারাদিন ধরে এই ক্কাথ অল্প অল্প করে খেতে থাকুন। যদি স্বাদ ভাল না লাগে তা হলে অল্প মধু মেশাতে পারেন। এ ছাড়াও খেতে পারেন ট্যামারিন্ড টি। ২০টা ট্যামারিন্ড চা পাতা ভাল করে ধুয়ে ১৫ মিনিট জলে ফুটিয়ে চা তৈরি করে নিন।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!