• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘লেংটার’ মাজারে ধর্ষণের পরেই দুই নারীকে হত্যা


মঈনউদ্দিন সুমন, মুন্সীগঞ্জ সেপ্টেম্বর ১৩, ২০১৭, ০৩:৪৭ পিএম
‘লেংটার’ মাজারে ধর্ষণের পরেই দুই নারীকে হত্যা

মুন্সীগঞ্জ: জেলা সদর উপজেলার কাটাখালির ভিটিশিল মন্দির এলাকার বারেক ল্যাংটার মাজারে দুই নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। ৩০ বছর ধরে মাজারে নিয়োজিত খাদেম আমেনা বেগমকে (৬০) মাজারের ভিতর গলাকেটে হত্যা করা হয়।

এসময় ভক্ত তাইজুন খাতুনকেও (৪৮) হত্যা করা হয়। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

মাজারের আশেপাশে স্থানীয়রা জানান, মাজারকে ঘিরে চারপাশে রীতিমত মাদকের আড্ডা বসতো। এর মধ্যে উঠতি বয়সের লোকজনদের সংখ্যাই বেশি ছিল। প্রতি বৃহস্পতিবার এখানে গান বাজনা হতো। বারেক ল্যাংটার মাজারে দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে আমেনা বেগম খাদেম হিসাবে নিয়োজিত ছিল। গজারিয়ার গুয়াগাছিয়া এলাকায় তার বাড়ি।  

আমেনার ছেলে মো. জাবেদ জানান, স্বামী খালেক মিজী মারা যাওয়ার পর থেকেই সে মাজারে খাদেম হিসাবে ছিলেন। গতকালও আমার সাথে কথা হয়েছিল মোবাইলে। কে বা কারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে জানা নেই।

তাইজুনের ছেলে কফিল উদ্দিন জানান, আমাদের সদর উপজেলার বকচর গ্রামে। তবে মা দুই ছেলের সাথে ঢাকার শ্যামপুর এলাকায় থাকতো। মনের শান্তি পূরনের জন্য সে প্রায়ই আসতো এখানে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সে মাজারে আসে।

মাজারের খাদেম মো. মাসুদ খান জানান, রাতে খাদেম আমেনা বেগম(৬০) এবং ভক্ত তাইজুন খাতুন(৪৮) মাজারের ভিতর থাকে। সকাল এসে মাজারে ভিতরে তাদের গলাকাটা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেই। মধ্যরাতে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানান তিনি।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, জমি-জামা, টাকা উত্তোলন এবং মাজারের নিয়ন্ত্রণ এসব বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে। কে বা কারা এই ঘটনার সাথে জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম পিপিএম জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণের পর তাদের হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ধর্ষণে ব্যবহৃত (জন্ম নিধরক) আলামত মিলেছে। তদন্ত করে বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান তিনি।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!