• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

লোকসভায় সহজেই জয় পেল মোদি সরকার


আন্তর্জাতিক ডেস্ক জুলাই ২১, ২০১৮, ১০:৩৬ এএম
লোকসভায় সহজেই জয় পেল মোদি সরকার

ঢাকা: ভারতের লোকসভায় অনাস্থা ভোটে খুব সহজের উতরে গেল মোদি সরকার। শুক্রবার অনুষ্ঠিত ভোটে মোদি সরকাররে পক্ষে পরে ৩২৫ ভোট। অন্যদিকে বিপক্ষে পরে ১২৬ ভোট। এর আগে লোকসভায় দীর্ঘ ১২ ঘণ্টার তুমুল আলোচনা উত্তাপ ছড়ায়।

ভারতের সংসদীয় ইতিহাসে লোকসভায় ২৭তম অনাস্থা প্রস্তাব। আর ২০০৩ সালে অটল বিহারি বাজপায়ী সরকারের পর দীর্ঘ ১৫ বছর পর শুক্রবার লোকসভায় অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হলেন ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তবে বিরোধীদের বড় ধরণের ধাক্কা দিয়ে, সহজেই জয় পেল মোদি সরকার।

এর আগে শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল এগারোটায় লোকসভায় অনাস্থা প্রস্তাবের শুরু হয় আলোচনা। মোদি সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে মোদির তীব্র সমালোচনা করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। পররাষ্ট্রনীতিসহ, মোদির নেওয়া বিতর্কিত বিভিন্ন সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।

কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী বলেন, মোদি ক্ষমতা নেওয়ার পর হাতে গোনা কয়েকজন ব্যবসায়ীর উন্নতি হয়েছে মাত্র। দেশের বাকি জনগণ আরো গরীব হয়েছে। সারাদেশে হত্যা, সংঘর্ষসহ নানা ধরণের অপরাধ হচ্ছে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নিশ্চুপ। তিনি আমাকে নির্বোধ বলে মনে করেন। কিন্তু তবুও তার প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা আছে। আমি তাকে ঘৃণা করি না।

বক্তব্যের মাঝে হঠাৎ উঠে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদিকে জড়িয়ে ধরেন রাহুল। এতে মোদিসহ লোকসভার উপস্থিত সদস্যরা অবাক হয়ে যান। তবে পরিস্থিতি সামলে নিয়ে রাহুলের পিঠ চাপরে দেন মোদি। রাহুলের এমন কাণ্ডের পর কংগ্রেসের পাশাপাশি ক্ষমতাসীন দলের অনেক এমপি টেবিল চাপরে তাকে অভিনন্দন জানালেও, কংগ্রেস সভাপতির এমন আচরণের সমালোচনা করেন লোকসভার স্পিকার সুমিত্রা মহাজন।

এরপর আলোচনায় অংশ নিয়ে রাহুলের সমালোচনার জবাব দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এসময় কংগ্রেস সভাপতির আচরণকে শিশুসুলভ উল্লেখ করে মোদি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসতে তাড়াহুড়ো করছেন রাহুল। এ বক্তব্যের পর বিরোধীদের তোপে মুখে পড়েন মোদি। পরে বিগত চার বছরে সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন তিনি।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, সরকার অবশ্যই ব্যবসায়ীদের প্রতি আন্তরিক। তারাই দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারেন। যার কারণে সাধারণ জনগনই উপকৃত হয়। কিন্তু কংগ্রেস এসব মানতে চায় না। কারণ নিজেদের ওপরই তাদের বিশ্বাস নেই। আস্থা ভোটের মতো যেকোন সঙ্কট উত্তরণে সরকারের যথেষ্ঠ সমর্থন আছে।

তবে বিজেপির পক্ষ থেকে জোটের অন্যতম মিত্র শিবসেনা অনাস্থা ভোটে অংশ না নেওয়ায় বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হয় মোদি সরকারকে। এর আগে গোরক্ষক, দলিতসহ নানা ইস্যুতে তেলেগু দেশ পার্টির একজন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন। পরে অনান্য বিরোধী দলের সদস্যরাও অনাস্থা প্রস্থাবের নোটিশ দিলে, তা গ্রহণ করেন লোকসভার স্পিকার।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!