• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

লোকসান নিয়েও পাবনা সুগারমিলে শুরু হচ্ছে আখ মাড়াই


পাবনা প্রতিনিধি ডিসেম্বর ৮, ২০১৬, ০১:২৮ পিএম
লোকসান নিয়েও পাবনা সুগারমিলে শুরু হচ্ছে আখ মাড়াই

২৭৭ কোটি টাকা লোকসানের বোঝা মাথায় নিয়ে শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) থেকে পাবনা সুগার মিলে শুরু হচ্ছে ১৯তম আখ মাড়াই মৌসুম।

পাবনা সুগার মিলস একের পর এক লোকসানের বোঝা ভারি করেই চলেছে। মিল প্রতিষ্ঠার দুই যুগেও লাভের মুখ দেখতে পারেনি সরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি। পর্যাপ্ত আখের অভাবে একদিকে লক্ষ্যমাত্রা পূরণে চিনি উৎপাদন করতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। অপরদিকে আখের ন্যায্য দাম না পাওয়ায় আখ চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষীরা। প্রতি বছর অবিক্রিত থাকছে হাজার হাজার মেট্রিকটন চিনি।

তথ্যমতে, ১৯৯২ সালে পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়ায় ৬০ একর জায়গার ওপর প্রতিষ্ঠিত হয় পাবনা সুগার মিল। ১৯৯৬ সালে বাণিজ্যিক উৎপাদনের যাওয়ার পর থেকে দুই যুগেও লাভের মুখ দেখাতে পারেনি প্রতিষ্ঠানটি। আখ স্বল্পতা, উৎপাদিত চিনি অবিক্রিত থাকাসহ নানা সংকটে প্রতি বছরই মিলটি লোকসানের বোঝা ভারি করেই চলেছে। মিল কর্তৃপক্ষের হিসেব মতে, ২৭৭ কোটি ৩৩ লাখ টাকা লোকসানে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। গত দুই মৌসুম মিলিয়ে বর্তমানে মোট চিনি অবিক্রিত রয়েছে ৪ হাজার ৭৬৬ দশমিক ৯৫ মেট্রিকটন। প্রতি চিনি উৎপাদিত মৌসুমেই বর্ণিল ও নানা সাজসজ্জায় আখ মাড়াই মৌসুম শুরু করা হলেও লাভের মুখ থেকে বিচ্যুত এই প্রতিষ্ঠানটি।

পাবনা সুগার মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী একেএম তোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী লোকসানের কারণ হিসেবে দাবি করছেন, চিনি উৎপাদনে যে পরিমাণ আখ সরবরাহ করা প্রয়োজন তা পর্যাপ্ত নয়। এছাড়াও উৎপাদন সামগ্রী ও বিভিন্ন মালামালের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রমাগত লোকসানের মুখেই পড়তে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, মিলকে লাভজনক করতে কৃষকদের মাঝে আখ চাষে উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি অন্যান্য ফসলের সাথে মিল রেখে আখের দাম নির্ধারণ করা প্রয়োজন।

এদিকে মিলের শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলছেন, সরকার শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন অনেকাংশে বাড়িয়ে দিলেও সে অনুপাতে বাড়েনি চিনির দাম। ফলে চিনি উৎপাদনের খরচ বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে লোকসানের পরিমাণও।

আর চাষীরা বলছেন, অন্য ফসল কম সময়ে উৎপাদন করা যায় স্বল্প খরচে। আর আখ উৎপাদনে ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় দিনদিন চাষিরা আখ উৎপাদন থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। চাষিদের উৎপাদিত আখের ন্যায্য মূল্য পেলে হয়তো আবার আখ চাষের দিকে ঝুঁকবে এমন দাবি আখ চাষিসহ সচেতন মহলের।

মিল সূত্র জানায়, পাবনাতে এবারে চলতি বছরে ৪১১৫ একর জমিতে আখ আবাদ করা হয়েছে। আবাদ থেকে লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭০ হাজার মেট্রিকটন। চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৫২৫০ মেট্রিক টন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!