• ঢাকা
  • বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

লোম দূরীকরণে লেজার চিকিৎসায় ক্যান্সারের ঝুঁকি


স্বাস্থ্য ডেস্ক জুলাই ২০, ২০১৬, ০৭:৪২ পিএম
লোম দূরীকরণে লেজার চিকিৎসায় ক্যান্সারের ঝুঁকি

দেহের অবাঞ্ছিত লোম দূরীকরণে অনেকেই আধুনিক লেজার চিকিৎসা গ্রহণ করেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এতে ক্যান্সারের ঝুঁকি রয়েছে। বিশেষ করে যারা নিয়মিত ধোঁয়াপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন তাদের ঝুঁকির মাত্রা অনেক বেশি।

ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার গবেষক ড. গ্যারি চুয়াং জানান, লেজার চিকিৎসার সময় পুড়ে যাওয়া লোম থেকে যে ধোঁয়া বের হয় তা বিশেষ এক রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন করে। এটি ক্যান্সারের কারণ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তা ছাড়া এই অদক্ষ লেজার চিকিৎসকরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে এই চিকিৎসা দিয়ে থাকেন। অসম্পূর্ণ চিকিৎসার কারণে চিকিৎসক এবং চিকিৎসা গ্রহণকারী উভয়ই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন। লেজার ট্রিটমেন্ট দেওয়ার সময় যে রাসায়নিক পদার্থ উৎপন্ন হয় তা বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে। কাজেই সেই স্থানে বাসাত চলাচলের যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে। ধোঁয়া যেন দ্রুত বের হয়ে যায় সে ব্যবস্থা থাকতে হয়।

গবেষক দলটি লোমের কিছু নমুনা সংগ্রহ করেন। একটি কাচের বয়ামে তাদের সংগ্রহ করে তাদের ওপর লেজার প্রয়োগ করা হয়। তিরিশ সেকেন্ডের এই প্রক্রিয়ার ফলাফল বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তারা ধোঁয়া পেয়েছেন ৩৭৭ ধরনের রাসায়নিক যৌগ। এদের মধ্যে ২০টি রাসায়নিক উপাদান পরিবেশ বিষাক্ত করে তোলার জন্য দায়ী। যেমন কার্বন মনোক্সাইড। এ ছাড়া ক্যান্সারের কারণ হতে পারে এমন ১৩টি রাসায়নিক পদার্থ শনাক্ত করা হয়।

এ পরীক্ষার পর গবেষকরা লোম দূরীকরনে লেজার চিকিৎসাকে স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি বলে চিহ্নিত করার পরামর্শ দেন। এর বিপদ থেকে বাঁচতে বায়ু চলাচলের যথাযথ ব্যবস্থা থাকতে হবে। সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!