• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শক্তিশালীদের হওয়ায় ভাঙছে না বিজিএমইএর অবৈধ ভবন


নিজস্ব প্রতিবেদক অক্টোবর ১০, ২০১৭, ০৯:১০ পিএম
শক্তিশালীদের হওয়ায় ভাঙছে না বিজিএমইএর অবৈধ ভবন

ঢাকা: বিজিএমইএ ভবনের মালিক যদি আমি বা আমার মতো সাধারণ মানুষ হতো, তবে কি তা এত দিন টিকে থাকত? এই অবৈধ ভবন শক্তিশালী ব্যক্তিদের। আর সে জন্যই তা এত দিন টিকে আছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

মঙ্গলবার(১০ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘নদী-জলাধার রক্ষা কর, কৃষিজমি-বন-পাহাড় বাঁচাও’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় বেলার প্রধান নির্বাহী এসব কথা বলেন। এর আয়োজন করে সাতটি বেসরকারি সংগঠনের জোট পানি অধিকার ফোরাম। এতে সহযোগিতা করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি)।

বাংলাদেশের তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন হচ্ছে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টারস অ্যাসোসিয়েশনস(বিজিএমইএ)।

রিজওয়ানা বলেন, মানুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিজিএমইএকে একটা ঝাঁকুনি দেয়া গেছে। আদালতের নির্দেশে তাদের এ ভবন ভাঙতেই হবে। আলোচনায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক এম শাহজাহান মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের বড় ধরনের সুশাসনের অভাব আছে। আর এ জন্যই নদী-ভূমি দখল হচ্ছে। পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছে।

বেসরকারি সংস্থা ‘নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী খুশী কবিরের সভাপতিত্বে সভায় তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ পানিসম্পদ পরিকল্পনা সংস্থার (ওয়ারপোর) সাবেক মহাপরিচালক ম. ইনামুল হক, ভবদহ কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল মোতালেব সরদার, বরিশালের রিচ টু আনরিচ সংগঠনের রফিকুল ইসলাম। আরও বক্তব্য দেন এএলআরডির নির্বাহী পরিচালক শামসুল হুদা, নাগরিক উদ্যোগের প্রধান নির্বাহী জাহির হোসেন প্রমুখ।

রাজধানীর হাতিরঝিল প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত বিজিএমইএ কার্যালয় সরাতে আপিল বিভাগ আরও সাত মাস সময় দেন। ৮ অক্টোবর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত সেদিন বলেন, এটিই শেষ সুযোগ।

এর আগে ২০১১ সালে হাইকোর্ট ওই ভবনকে ‘হাতিরঝিল প্রকল্পে একটি ক্যানসারের মতো’ উল্লেখ করে রায় প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে ভেঙে ফেলতে নির্দেশ দেন। দুই বছর পর ২০১৩ সালের ১৯ মার্চ হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।

এই রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন বিজিএমইএর সভাপতি। এই লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে ২০১৬ সালের ২ জুন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বিভাগ লিভ টু আপিল খারিজ করে রায় দেন।

এ বছরের মার্চ ছয় মাসে দেয়া ছয় মাস শেষ হয় গত ১২ সেপ্টেম্বর। এরপরই ‘শেষ সুযোগ’ দেন আদালত।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!