• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শত বছর মেয়াদী ডেল্টা পরিকল্পনার অনুমোদন


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ৪, ২০১৮, ০৫:১১ পিএম
শত বছর মেয়াদী ডেল্টা পরিকল্পনার অনুমোদন

ঢাকা: জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় শত বছর মেয়াদী ‘ডেল্টা প্ল্যান ২১০০’ পর্যালোচনা শেষে অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। পরিকল্পনাটি তৈরি করেছে পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনৈতিক বিভাগ (জেইডি)।

মঙ্গলবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলনকক্ষের সভায় এটি অনুমোদন দেয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন এনইসির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের ব্রিফিং এ সব তথ্য জানান।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু হলে ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি ১ দশকিক ৫ শতাংশ বেড়ে যাবে। এত লম্বা সময়ের পরিকল্পনা বাংলাদেশে এটাই প্রথম- এমনকি বিদেশেও হয়নি।

তিনি জানান, আজকের দিনটি আমাদের দেশের জন্য একটি ’রেড লেটার ডে’। ২১০০ সাল নাগাদ আমরা দেশকে পানি ব্যবস্থাপনায় কীভাবে দেখতে চাই, এটা তারই পরিকল্পনা।

তিনি আরো জানান, ২০২১ সালে থেকে ২০৪১ সাল নাগাদ আরেকাট পরিপ্রেক্ষিত পরিকল্পনা তৈরির কাজ চলছে। এর আলোকে আমরা উন্নত দেশ গড়ার লক্ষ্য বাস্তবায়নে এগিয়ে যাব।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নেদারল্যান্ডস এ ধরনের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে ৬ হাজার স্কয়ার কিলোমিটার নতুন ভূমি পেয়েছে। তাদের সহযোগিতাতেই এ পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়েছে। পানি আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, এই পানিকে আমরা সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে কৃষিতে আমরা পিছিয়ে থাকব না। বাংলাদেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে পারব।

জিইডি সূত্রে জানা যায়, ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০ এর প্রাথমিক ধাপ বাস্তবায়ন হবে ২০৩০ সাল নাগাদ। এই পরিকল্পনা যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম পর্যায়ে বাস্তবায়নের জন্য ৮০টি প্রকল্প প্রস্তাব করা হয়েছে। এর মধ্যে ৬৫টি ভৌত অবকাঠামো-সংক্রান্ত এবং ১৫টি প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং গবেষণাবিষয়ক প্রকল্প রয়েছে।

পরিকল্পনার আওতায় বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, খরাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক সমস্যা মোকাবেলায় ৯টি নদী, খাল ও জলাধার ব্যবস্থাপনায় পলি অপসারণসহ নদী ড্রেজিংয়ে ৬টি, পাহাড়ি এলাকায় ৫টি এবং মোহনা ও উপকূলীয় এলাকায় ১২টি প্রকল্প, কম দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় ১৫টি প্রকল্পসহ বিরাজমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় প্রাথমিকভাবে ৮০টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

সব নদী দখলমুক্ত করে, আধুনিক ড্রেইনেজ সিস্টেম, সেচ চ্যানেল, নাব্যতা বাড়িয়ে নৌপথ বাড়ানোর দিক নির্দেশনাসহ আধুনিক ব-দ্বীপ ব্যবস্থাপনার মাস্টার প্ল্যান হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে ডেল্টা প্ল্যানকে।

আর বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ছয়টি স্থানকে গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। এগুলো হলো- উপকূলীয় অঞ্চল, বরেন্দ্র ও খরাপ্রবণ অঞ্চল, হাওর এবং আকস্মিক বন্যাপ্রবণ এলাকা, পার্বত্য অঞ্চল এবং নগর এলাকা। অঞ্চলভেদে আর্থ-সামাজিক বৈষম্য এবং এর সাধারণ ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!