• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শরীরের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে


লাইফস্টাইল ডেস্ক জুন ৩, ২০১৬, ০৪:৫১ পিএম
শরীরের দুর্গন্ধ থেকে বাঁচতে

প্রচণ্ড গরমে শরীর তো ঘামবেই। আর এই ঘাম থেকে দুর্গন্ধ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। তবে আপনার শরীরের দুর্গন্ধ অন্যের যেন বিরক্তির কারণ না হয়। তাই শরীরের দুর্গন্ধ এড়াতে আপনাকে থাকতে হবে সচেতন। এই গরমে নিজেকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে যে বিষয়গুলো নজর রাখবেন-

# খাবার শরীরের দুর্গন্ধ তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। ব্যাক্টেরিয়া মূলত দুর্গন্ধের জন্য দায়ী, তাই যেসব খাবার ব্যাক্টেরিয়ার দ্রুত বিস্তারে সাহায্য করে সে ধরনের খাবার বর্জন করতে হবে।

# শরীর দুর্গন্ধমুক্ত রাখতে গরমের সময় সুতি কাপড় পরিধান করুন। সুতি, লিনেন বা সিল্কের কাপড়গুলোতে বাতাস ভালোভাবে আসা-যাওয়া করতে পারে। এতে আপনি কম ঘামবেন।

# প্রতিদিন কাপড়-চোপড় বদলাতে হবে। বিশেষ করে বাসায় ফিরে শুধুই বাতাসে শুকাতে না দিয়ে ধুয়ে ফেলার অভ্যাস করতে হবে। এবং কাপড় ভালোভাবে রোদে শুকাতে হবে।

# গরমের সময় অন্তর্বাস নিয়মিত বদলাবার এবং ধোয়ার অভ্যাস করতে হবে।

# ভালো ব্রাণ্ডের ডিওডোরেন্ট এবং ফাইল লেভেল ঠিক আছে কিনা দেখে কিনতে হবে। এবং এই সব ক্যামিক্যালের তৈরি পণ্য স্বল্প পরিমাণে ব্যবহার করাই উত্তম।

# যাদের হাইপারহাইড্রোসিস এর প্রবণতা আছে তাদের চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া ভালো। এছাড়া কিছু বিষয়ে উদাসীন হলে চলবে না। যেমন- গরমের সময় পানি পানের ব্যাপারে উদাসীন থাকা চলবে না। প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খাবেন।

# পা কখনো বেশিক্ষণ ঘর্মাক্ত রাখা যাবে না। পায়ের দুর্গন্ধ সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায় ফেলে। গরমের সময় কাপড়ের জুতা পরা যাবে না এবং সুতির মোজা পড়তে হবে।

# ব্যাক্টেরিয়া কেবল পা আর বগলের নিচেই জন্মায় না। তাই কেবল পা ধোঁয়া আর বগলে স্প্রে করলেই চলবে না। গরমের সময় দরকার সার্বিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। বিশেষ করে এই সময় প্রতিদিন সম্ভব হলে দিনে দুইবার গোসল করতে হবে।

# গরমের সময় শেভিংয়ের ব্যাপারে উদাসীন থাকা চলবে না। বগলের নিচে নিয়মিত শেভিং করতে হবে। এতে ঘাম নির্গমনের সময়কার অস্বস্তি দূর হবে আর ব্যাক্টেরিয়া জন্মানোর পরিমাণও কমে যাবে। অবশ্যই এই গরমে নিজের দিকে একটু বাড়তি নজর দিবেন।

এখন পুরোপুরি গরম পড়লেও ঠাণ্ডা কিন্তু কাটে নি। তাই এই সময়টাতে সবারই কমবেশি অসুখ হতে পারে । প্রচণ্ড রোদ থেকে বাসায় ফিরে এক গ্লাস গ্লুকোজ বা স্যালাইন খেতে পারেন। এতে পানি স্বল্পতা দূর হবে ও ছোটো খাঠো অসুখ হতে একটু নিরাপদ থাকা যাবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি

Wordbridge School
Link copied!