• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘শাকিবের ছবি যেভাবে দর্শক লুফে নেয়, মাহির ছবি নেয়না’


বিনোদন প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২, ২০১৮, ০২:২৯ পিএম
‘শাকিবের ছবি যেভাবে দর্শক লুফে নেয়, মাহির ছবি নেয়না’

শাকিব খান-মাহিয়া মাহি

ঢাকা: শাকিব খানের ছবি যেভাবে দর্শক লুফে নেয়, মাহির ছবি ওতোটা নেয়না। আর ‘মনে রেখো’-তে নায়ক আছে তাকে তো কেউ চেনেই না। এজন্য মানুষ ছবিটা দেখতে চাচ্ছে না। এবার ঈদে ছবির ব্যবসায় লাভের মুখ দেখলেন না মহাজন (হল মালিক)।

ঈদুল আজহায় সাতক্ষীরা জেলার  লাবণী হলে মুক্তি পেয়েছে মাহি ও বনির ‘মনে রেখো’। এই সিনেমা হলে ৩৮ বছর ধরে কাজ করছেন আবদুর রহিম। পেশায় শো অপারেটর হলেও সিনেমা হলের বেশিরভাগ কাজ তিনিই করেন। ম্যানেজারের অনুপস্থিতিতে কথা হয় আবদুর রহিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘মনে রেখো’ ছবি এখানে ভালো চলেনি। প্রথম সপ্তাহ শেষে দ্বিতীয় সপ্তাহেও চলছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো শো হাউজফুল যায়নি।

কথা প্রসঙ্গে লাবণী হলের এই কর্মচারী জানান, ৬৫ হাজার টাকা দিয়ে ছবি এনে চালানো হচ্ছে। প্রদর্শনের প্রায় ১০ দিন হতে যাচ্ছে। এই সময়ে সর্বসাকুল্যে ৩০ হাজার টাকা উঠেছে। একেবারে লস প্রজেক্ট! যোগ করে তিনি বলেন, লাবণীতে টিকেটের মূল্য ৪০ টাকা এবং ৫০ টাকা। ঈদের ছবির জন্য বাড়ানো হয়েছিল ১০ টাকা করে।

এমন দর্শক খরার কারণ জানতে চাইলে আবদুর রহিম বলেন, এবার ঈদে শাকিব খানের একটি ছবি রিলিজ হয়েছে। দর্শকের আগ্রহ সব ওই ছবির দিকে। তাই অন্য ছবি চলতে চায় না। তিনি বলেন, রোজার ঈদে শাকিবের একাধিক ছবি মুক্তি পেয়েছিল। তখন লাবণীতে ‘সুপার হিরো’ চলেছিল। ভালো ব্যবসা হয়েছিল।

সরেজমিনে হল সংশ্লিষ্টের সঙ্গে আলাপ করতে গেলেও কেউ কথা বলেননি। তবে সাতক্ষীরার বাকি দুই ঐতিহ্যবাহী হল লাবণী ও সংগীতায় ঈদুল আজহা উপলক্ষে পৃথকভাবে মুক্তি পেয়েছে ‘মনে রেখো’ এবং ‘ক্যাপ্টেন খান’ ছবি দুটি।

লাবণী সিনেমা হল (নিউমার্কেট) থেকে হেঁটে পাঁচ মিনিটের দূরত্বে অবস্থিত তুফান মোড়। সেখানে সংগীতার অবস্থান। ৫০০ আসন বিশিষ্ট এই সিনেমা হলে চলছে শাকিব খান ও বুবলীর ছবি ‘ক্যাপ্টেন খান’। ঈদের দিন থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহেও ‘ক্যাপ্টেন খান’ চলছে। সংগীতা সিনেমা হলের ম্যানেজার মো. হক জানান, প্রথম সপ্তাহে মোটামুটি ভালো চলেছে ‘ক্যাপ্টেন খান’। তবে দ্বিতীয় সপ্তাহে ব্যবসা কম।

তিনি বলেন, একলাখ আশি হাজার টাকা দিয়ে ‘ক্যাপ্টেন খান’ চালানো হচ্ছে। ঈদের প্রথম দুদিন হাউজফুল ছিল। পরে হাউজফুল না গেলে দর্শক ছিল ৬০ শতংশ। ব্যবসা যা হওয়ার প্রথম সপ্তাহেই হয়ে গেছে।

মো. হক বলেন, এবারের ঈদে ছবির ব্যবসা যে খুব ভালো হয়েছে তা নয়৷ লোকসান হয়নি, আবার লাভের জন্য যে পরিমাণ প্রত্যাশা ছিল সেটা পূরণ হয়নি। সবমিলিয়ে এভারেজ গেছে। 

সোনালীনিউজ/বিএইচ

Wordbridge School
Link copied!