• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

‘শান্তির নেত্রী’ যখন ভয়ঙ্কর খুনি!


ফেসবুক থেকে ডেস্ক সেপ্টেম্বর ১, ২০১৭, ০৪:৩৩ পিএম
‘শান্তির নেত্রী’ যখন ভয়ঙ্কর খুনি!

ঢাকা: মিয়ানমারে রোহিঙ্গা গণহত্যা নিয়ে সরব সোশ্যাল মিডিয়া। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পাশাপাশি জ্বালাময়ী পোস্ট দিচ্ছেন বাংলাদেশিরাও। অনেকে শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সুচির দিকে অভিযোগের তীর ছুড়ছেন। তারা বলছেন, সুচি শান্তি নেত্রীর নয়, তিনি ঠাণ্ডা মাথার খুনি!

মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে নিরপরাধ মুসলিম রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ, নিন্দা ও ঘৃণা প্রকাশ করে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন অনেকে। আবার কেউ অন্য কারো পোস্ট শেয়ার করছেন। 

বেশিরভাগ স্ট্যাটাসে তুলোধোনা করা হচ্ছে শান্তিতে নোবেলজয়ী মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চিকে। সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহে তার শুধু তীব্র সমালোচনাই হচ্ছে না, বিচারও দাবি করা হচ্ছে। কেউ কেউ ফাঁসির দাবিও তুলছেন। স্ট্যাটাসে সু চির ব্যঙ্গচিত্রও পোস্ট করছেন অনেকে।

জনপ্রিয় শিল্পী আসিফ আকবর তার ফেসবুকে এ সংক্রান্ত একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি তাতে লেখেন, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর খুনি বর্মি বর্গি অং সান সু চিকে গণহত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হোক। আন্তর্জাতিক আদালতে মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায়ে বিশেষ ট্রাইব্যুনালে তার বিচারও চেয়েছেন।

আসিফ লিখেছেন, বিশ্ব বিবেক জাগ্রত হোক, নির্বিচারে রোহিঙ্গা হত্যাকারী অং সান সু চির শান্তিতে পাওয়া নোবেল কেড়ে নেওয়া হোক। মাতৃভূমিতে বসবাস করতে পারা তাদের অধিকার, রোহিঙ্গাদের সেই অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।

মিয়ানমারে চলমান রোহিঙ্গা হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী। বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে এক পোস্টে তিনি এ প্রতিবাদ জানান।

সেই পোস্টে ফারুকী মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী অং সান সুচি’কে আরাকানের ইতিহাস জানার এবং একইসঙ্গে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ ও সিভিল সোসাইটিকে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান। না হলে পরিণামে স্বাধীন আরাকান রাজ্য আন্দোলন জোরদার হবে।

ইংরেজিতে দেওয়া পোস্টে ফারুকী লেখেন, ‘মিয়ানমারের জান্তা এবং ভুয়া শান্তি পুরস্কার বিজয়ী সুচিকে অবশ্য আরাকানের ইতিহাস জানতে হবে— কখন, কীভাবে তাদের পূর্বপুরুষরা স্বাধীন আরাকান দখল করেছিল এবং মিয়ানমারের অন্তর্ভুক্ত করেছে।’

তিনি আরো বলেন, ‘এবং অবশ্য জানা উচিত তাদের নির্যাতন ও হত্যা শুধুই স্বাধীন আরাকান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্ম দেবে।’

কেউ কেউ ফেসবুকে লিখেছেন, বাংলাদেশের মানুষ আশা করেছিল সু চির দল ক্ষমতাসীন হলে রোহিঙ্গা নির্যাতন বন্ধ হবে। রোহিঙ্গা মুসলিমরা তাদের নিজ মাতৃভূমিতে শান্তিতে অধিকার নিয়ে বসবাস করতে পারবেন। কিন্তু তার উল্টো চিত্র দেখা গেছে তার দল ক্ষমতাসীন হওয়ার পর। 

এখন আরও বেশি করে অত্যাচার-নির্যাতন নেমে এসেছে রোহিঙ্গাদের ওপর। তার মদদেই রোহিঙ্গাদের ওপর বর্বর নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে বাংলাদেশিরা মনে করেন। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী বর্তমানে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ধরে ধরে গুলি করে মারছে। 

অথচ সেই সেনাবাহিনীর ভূয়সী প্রশংসা করছেন অং সান সু চি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সু চির ভূমিকা নিয়ে শুধু বাংলাদেশেই নয়, সারা বিশ্বেই সমালোচনা হচ্ছে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআরসি/জেএ

Wordbridge School
Link copied!