• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত জামালকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন


চাঁপাইনবাবগঞ্জ সংবাদদাতা মার্চ ১৬, ২০১৮, ০৭:১২ পিএম
শান্তিরক্ষা মিশনে নিহত জামালকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : আফ্রিকার মালিতে শান্তিমিশনে কর্মরত অবস্থায় বোমা বিস্ফোরণে নিহত সৈনিক মো. জামালের মরদেহ শুক্রবার (১৬ মার্চ) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে তার গ্রামের বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের ধুমিহায়াতপুর ঘাইসাপাড়া গোরস্থানে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে।

২৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার আফ্রিকার মালির মোপ্তি এলাকার একটি সড়কে গাড়িতে করে যাবার সময় রাস্তার পাশে পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে নিহত হন আফ্রিকার মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কর্মরত ৪ বাংলাদেশি। এদেরেই একজন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জামাল। ঘটনার ১৫ দিন পর শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে রাজধানী ঢাকা থেকে তার মরদেহ আনা হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের ডা. আ আ ম মেসবাউল হক (বাচ্চু ডাক্তার) স্টেডিয়ামে। এরপর দুপুর ১টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে করে নেয়া জামালের মরদেহ তার বাড়ি শিবগঞ্জ উপজেলার ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের ধুমিহায়াতপুর ঘাইসাপাড়ায় বাড়ির সামনে পৌঁছামাত্র এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

এ সময় লাশের কফিন জড়িয়ে জামালের বাবা মেসের আলী, মা ফেরদৌসী বেগম, স্ত্রী ফাহিমা আখতার শিল্পী ও সাড়ে ৫ বছরের অবুঝ সন্তান ইমরান আল রিহাদের আহাজারিতে আশপাশ থেকে আসা পাড়া প্রতিবেশীরাও কান্নায় ভেঙে পড়েন। ভারি হয়ে ওঠে এলাকার পরিবেশ। এ সময় জামালকে একনজর দেখার জন্য সেখানে আগে থেকেই জড়ো হন হাজারো মানুষ। এ সময় লাশের সঙ্গে আসা সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকু জামালের বাবা ও মাকে শান্তনা দেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে তিনি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।

পরে বিকেল ৩টায় জানাজার নামাজ শেষে সৈনিক জামালকে চির নিদ্রায় দাফন করা হয় ধুমিহায়াতপুর ঘাইসাপাড়া গোরস্থানে। এর আগে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। বিউগলে বেজে উঠে করুণ সুর। পরে জামালের কফিনে মোড়ানো জাতিসংঘ ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পতাকা তার বাবা মেসের আলীর কাছে হস্তান্তর করেন সেনা কর্মকর্তারা।

প্রসঙ্গত: এসএসসি পাসের পর ২০০৫ সালে তিনি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। এরপর যশোরে কর্মরত অবস্থায় গত বছরের মে মাসে মালি শান্তিমিশনে গিয়েছিলেন জামাল। তিন ভাই-বোনের মধ্যে জামাল ছিলেন সবার বড়। তিনি স্ত্রী ও এক সন্তান রেখে গেছেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!