• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

শামীম ওসমানের কাছে ভোট চাইবেন আইভী!


নিজস্ব প্রতিবেদক নভেম্বর ১৯, ২০১৬, ০৭:০৯ পিএম
শামীম ওসমানের কাছে ভোট চাইবেন আইভী!

নারায়ণগঞ্জ: ‘শামীম ওসমান আমার একজন ভোটার। প্রয়োজন হলে তার বাড়ি যেতে পারি। আমি যদি দলমত-নির্বিশেষে বাড়ি বাড়ি ভোট চাইতে যেতে পারি, তাহলে তার বাড়িতে নয় কেন?’

শনিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় শহরের দেওভোগে পৈতৃক বাড়িতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সেলিনা হায়াৎ আইভী।

আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে এমপি শামীম ওসমানের কী ভূমিকা হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে আইভী বলেন, ‘আমি কী করে বলব ওনার কী ভূমিকা হবে। এই প্রশ্ন ওনাকে করেন। তবে আমি মনে করি, উনি যদি দলের অনুগত কর্মী হন, তবে নিশ্চয়ই দলের নির্দেশ মেনে চলবেন।’

শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেলেন বিদায়ী মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী। গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভায় তার মনোনয়নের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।

এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আইভী বলেন, ‘এই মনোনয়ন প্রাপ্তির মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জবাসীর আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেছে। আমি নারায়ণগঞ্জবাসী ও দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। দলের সব স্তরের নেতা-কর্মীকে নিয়েই নির্বাচন করব। এ জন্য সবার সহযোগিতা চাই।’

এর পরদিনই (১৯ নভেম্বর) সকালে নিজ বাড়িতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তার রাজনৈতিক ‘চিরশত্রু’ এমপি শামীম ওসমান বিষয়ে মন্তব্য করলেন।

আগামী ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের দ্বিতীয় বারের মতো নির্বাচন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৪ নভেম্বর। যাচাই-বাছাই হবে ২৬ ও ২৭ নভেম্বর। আগামী ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন।

নির্বাচনে প্রার্থী বাছাইয়ে গত ১৫ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা সার্কিট হাউসে মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী হিসেবে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুর রশিদের নাম পাঠানো হয়। যাদের মধ্যে বিদায়ী মেয়র আইভীর নাম ছিল না। সভায় এমপি শামীম ওসমান উপস্থিত থেকে তালিকা প্রেরণের বিষয়ে উৎসাহ জুগিয়েছিলেন।

এর আগে গত ২৯ অক্টোবর মহানগর আওয়ামী লীগের সমাবেশে আনোয়ার হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে সবার সমর্থন চেয়েছিলেন। সেখানে শামীম ওসমান বলেছিলেন, ‘যদি আনোয়ার হোসেন মনোনয়ন পান তাহলে তার জন্য আমরা নিঃস্বার্থভাবে কাজ করব।’

এ ঘটনার পর গত ১৭ নভেম্বর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেতে আইভী দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা বরাবর লিখিত আবেদন করেন। গত ১৮ নভেম্বর গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সভা চলাকালে বাইরে আনোয়ার হোসেনের সমর্থকরা সিদ্ধান্ত জানতে মুখিয়ে থাকেন। আনোয়ার হোসেন মনোনয়ন না পেলে তারা গণপদত্যাগ করবেন বলেও হুমকি দিতে থাকেন। কিন্তু শেষ অবধি মনোনয়ন লাভ করেন সেলিনা হায়াৎ আইভীই।

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!