• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শারমিন এখন শিক্ষার্থীদের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত


ঝালকাঠি প্রতিনিধি এপ্রিল ২২, ২০১৭, ০৯:২৯ এএম
শারমিন এখন শিক্ষার্থীদের কাছে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত

ঝালকাঠি: শারমিন আকতার। নিজের বাল্যবিয়ে ঠেকিয়ে বিশ্বজুড়ে এখন আলোচিত নাম। অনন্য সাহসিকতায় পেয়েছেন আন্তর্জাতিক পুরস্কার। আর ঝালকাঠির রাজাপুরের এই তরুণীকে নিয়ে গর্বিত শিক্ষক ও এলাকাবাসী। তার এ দৃষ্টান্তকে অনুসরণ করে এগিয়ে যেতে প্রত্যয়ী সহপাঠীসহ এলাকার শিক্ষার্থীরা। নারী অধিকার রক্ষায় নারী নির্যাতন ও বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে কাজ করার অঙ্গীকার সাহসী এ নারীর পুরস্কারজয়ী শারমিনের।

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শারমিন আকতার। অদম্য সাহসিকতার জন্য নামটি দেশ ছাড়িয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে বিশ্বব্যাপী।

২০১৫ সালের আগস্টের শুরুর দিকে ৩২ বছরের এক পাত্রের সাথে ১৫ বছরের শারমিনের বিয়ে ঠিক করে তার মা। বাল্য বিয়েতে রাজী না হওয়ায়, খুলনায় নিয়ে তাকে পাত্রের সাথে এক ঘরে আটকে রাখা হয়।

সেখান থেকে কৌশলে পালিয়ে আসেন শারমিন। তাতেও রক্ষা হয়নি তার। ঝালকাঠির বাড়িতে আটকে তার ওপর চালানো হয় অমানুষিক নির্যাতন। বাবা সৌদি প্রবাসী হওয়ায় মায়ের অত্যাচারের মাত্রা বাড়তেই থাকে। শেষ পর্যন্ত এক সহপাঠীর সহযোগিতায় রাজাপুর থানায় মামলা করেন শারমিন। এনিয়ে দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে খবর প্রচারের পর বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে।

অসীম সাহসিকতা ও অদম্য ইচ্ছার স্বীকৃতি হিসেবে, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ‘ইন্টারন্যাশনাল ইউমেন অব কারেজ- ২০১৭’ পুরস্কারে ভূষিত হন শারমিন আকতার। গত ৩০ মার্চ, মার্কিন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের কাছ থেকে সম্মাননা ক্রেস্ট নেন তিনি।

শারমিনকে অনুসরণ করে এলাকার ছাত্রীরাও এগিয়ে যেতে চান নারী নির্যাতন আর বাল্যবিয়ের বিরুদ্ধে।

বিশ্বব্যাপী অধিকার আদায় ও নারীর ক্ষমতায়নের পক্ষে জোরালো ভূমিকা ও সাহসী পদক্ষেপের স্বীকৃতি হিসেবে ২০০৭ সাল থেকে এ পুরস্কার দিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর। চলতি বছর শারমিন আকতারসহ বিভিন্ন দেশের ১৩জন সাহসী নারী এ সম্মাননা পেয়েছেন।

২০১৬-তে আইনজীবী সারা হোসেন ও ২০১৫-তে সাংবাদিক নাদিয়া শারমীনের পর এবার বাংলাদেশের তৃতীয় নারী হিসেবে এ পুরস্কার পেলেন শারমিন।

ঢাকায় উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে লেখা পড়া করতে চায়। সে জানিয়েছে, এ আন্তর্জাতিক পুরস্কার পাওয়ায় তার ওপর দায়িত্ব এখন বেড়ে গেছে। লেখা পড়ার সাথে সাথে দেশের নারী শিক্ষার উন্নয়ন আর বাল্য বিয়ের বিরুদ্ধে সে কাজ করে যাবে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!