• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষকের বেত্রাঘাতে অজ্ঞান ছাত্র হাসপাতলে


মোরেলগঞ্জ প্রতিনিধি মে ২২, ২০১৭, ১২:২৯ পিএম
শিক্ষকের বেত্রাঘাতে অজ্ঞান ছাত্র  হাসপাতলে

আহত ছাত্র জয় মন্ডল (১৫)

মোরেলগঞ্জ : বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ২ শিক্ষকের বেধড়ক বেত্রাঘাতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে ওই বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্র জয় মন্ডল (১৫)। অজ্ঞান সহপাঠীর প্রতি সহমর্মিতা দেখানোর অপরাধে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেয়া হয়েছে লাবনী নামের একই ক্লাশের এক ছাত্রীকে।

আহত ছাত্র জয় মন্ডলকে রোববার (২১ মে) সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। সে একই এলাকার পশুরবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক বিমল মন্ডলের ছেলে। এ ঘটনায় আহত ছাত্র জয় ও ছাত্রী লাবনীর অভিভাবকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযুক্ত শিক্ষক সমির রঞ্জন হালদার

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন রোববার দুপুরে উপজেলার খাউলিয়া ইউনিয়নের সন্ন্যাসী এসপি রাশিদিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাশ চলাকালীন সময়ে ১০ম শ্রেনীর ছাত্র জয়মন্ডলের সঙ্গে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় তারই এক সহপাঠিনীর। এ ঘটনায় সহকারী শিক্ষক শিবলী মাহামুদ প্রথমে জয়কে বেত দিয়ে প্রহার করে। এর পরপরই বিদ্যালয়ের বিএসসি শিক্ষক সমীর রঞ্জন হাওলাদার দ্বিতীয় দফায় ছাত্র জয়মন্ডলকে নির্বিচারে বেত্রাঘাত করে অজ্ঞান করে ফেলে রাখে। এ অবস্থায় তার সহপাঠি কলাসের ফাষ্ট গার্ল লাবনী আকতার অজ্ঞান জয়ের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শণ করলে ওই ২ শিক্ষক তার সঙ্গেও অপত্তিকর ব্যবহার করে বিদ্যালয় থেকে তাকে বের করে দেয়। আহত জয়মন্ডলের বাবা-মা ঘটনাটি জানতে পেরে তাদের ছেলেকে উদ্ধার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমানের কাছে নিয়ে গেলে তিনি আহত ছাত্রকে চিকিৎসার পরামর্শ দেন এবং বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল ইসলামকে বিষয়টি নিষ্পত্তির নির্দেশ প্রদান করেন।

অপরদিকে শিক্ষক সমির রঞ্চন ও তার লোকজন ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য বিদ্যালয়েরই এক ছাত্রীকে দিয়ে ইফটিজিংয়ের একটা অভিযোগ দায়েরের জন্য রোববার রাতেই ছাত্রীর বাড়ি দৌরঝাপ করে সাদা কাগজ ও কম্পিউটার কম্পোজ করা কাগজে স্বাক্ষর নিয়েছে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ ওবায়দুর রহমান বলেন, শিক্ষকের মারপিটে আহত ছাত্রকে আমি দেখে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলেছি এবং ইফটিজিংয়ের কোন ব্যাপার থাকলে প্রশাসন আছে। আইনকে হাতে নেয়ার অধিকার কোন শিক্ষকের নেই।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রেজাউল আহসান সমির রঞ্জন হালদারের পক্ষে সাফাই গেয়ে জানান, ১০ শ্রেণীর একটি মেয়ের সাথে দুর্ব্যবহার করার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। তবে বিষয়টি কমিটির মিটিং করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে তিনি জানান।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!