• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এডহক কমিটির বিধান কেন অবৈধ নয়’


আদালত প্রতিবেদক মার্চ ১৩, ২০১৭, ০১:৫৪ পিএম
‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এডহক কমিটির বিধান কেন অবৈধ নয়’

ঢাকা: এডহক কমিটি গঠনের বিধান সম্বলিত আইনের ধারা কেন বেআইনী ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে সোমবার (১৩ মার্চ) রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ঢাকার ডিসিসহ নয়জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

একইসঙ্গে এডহক কমিটির মাধ্যমে নির্ধারিত বর্ধিত ফি এক বছরের জন্য স্থগিত করেছেন আদালত। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষ বিচারপতি জিনাত আরা ও বিচারপতি কাজী ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ।

২০০৯ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা প্রবিধানমালা ৩৯ ধারায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের কোন বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গভর্নিং বডি বা, ক্ষেত্রমত ম্যানেজিং কমিটি পুনর্গঠনে ব্যর্থ হলে উহা সঠিকভাবে গঠিত না হলে বা ভাঙ্গিয়া দেওয়া হলে অনধিক ছয় মাসের জন্য এডহক কমিটি গঠিত হবে।

আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, প্রবিধানমালার এই ধারাটি সংবিধানের প্রস্তাবনা ও ১১ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এছাড়া ১৯৬১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যাদেশের ৩৯ ধারার সঙ্গেও এটা সাংঘর্ষিক। কারণ অধ্যাদেশে এডহক কমিটি গঠনের কোন বিধান ছিল না। এডহক কমিটি সংবিধানের গণতান্ত্রিক কাঠামোর সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। অনির্বাচিত এডহক কমিটি থাকলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারও থাকতে পারে। তাই আদালত এই ধারাটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এদিকে এডহক কমিটির মাধ্যমে ভিকারুন্নিসায় স্কুল পর্যায়ে ৩০০ ও কলেজ পর্যায়ে মাসিক ৫০০ টাকা হারে বেতন বাড়ানো হয়েছে। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বার্ষিক ৫০০ টাকা হারে হিতৈষী ভাতা নিয়ে থাকে। অনির্বাচিত কমিটির মাধ্যমে এই টিউশন ফি বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত এক বছরের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।

এর আগে গত ৭ মার্চ হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী ড. ইউনুছ আলী আকন্দ। সেই আবেদনের শুনানি শেষে আদালত আজ এই আদেশ দেন।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এইচএআর

Wordbridge School
Link copied!