শিক্ষা ব্যবস্থায় সুনর্দিষ্টি আইন প্রণয়ন নিয়ে রায় সোমবার

ঢাকা: সারাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় বাদে স্কুল কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালনায় সুনর্দিষ্টি আইন প্রণয়ন চেয়ে জনস্বার্থে করা রিট আবেদনের শুনানি শেষ।

আগামী সোমবার বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টে বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করবেন।

জনস্বার্থে হাইকোর্টে এ রিট আবেদনটি ২০১২ সালে দায়ের করেন সুপ্রিমকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এবিএম নুরুল ইসলাম। পরে আদালত থেকে বেরিয়ে নুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের দেশে প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দিক নির্দেশনা অনুযায়ী চলছে। যা সংবিধানের ১৫২ অনুচ্ছেদের সাথে সাংঘর্ষিক।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালের ১০ অক্টোবরে করা প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রম নীতিমালাগুলো রাষ্ট্রপতি বা সংসদ প্রণয়ন করেননি।

তিনি বলেন, আমি শিক্ষা ব্যবস্থায় সুনির্দিষ্ট আইন চেয়ে একটি রিট আবেদন দায়ের করেছি। বিগত পাচ বছর আদালতে এ বিষয়ে শুনানি করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় সংসদ কর্তৃক কোনো আইন না থাকায় শিক্ষায় হরিলুট চলছে। অনিয়ম দর্নীতি ও সেচ্চাচারিতা চলছে।

তিনি বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যরা তাদের প্রতিটি নির্বাচনী এলাকার বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে প্রত্যাক্ষ বা পরোক্ষভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে। এ নীতিমালায় দেশের মফস্বল এলাকায় শতকরা ৩৩ ভাগ মহিলা শিক্ষক নিয়োগ দেয়ার বিধান রাখা হয়েছে। যেটি অমানবিক বলেও উল্লেখ করেন নুরুল ইসলাম। এ সুযোগে শিক্ষা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা শিক্ষা ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণে অনিয়ম দুর্নীতি করছেন।

তিনি বলেন, আদালতে এ ব্যাপারে শুনানির সময় রাষ্ট্রপক্ষ আমার সাথে কিছু কিছু বিষয়ে একমত পোষণ করেছেন। আদালতে রিট আবেদনের শুনানিতে নুরুল ইসলামকে সহযোগিতা করেছেন অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন ও অ্যাডভোকেট মহিউদ্দিন মহিম।         

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেএ