• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি দ্রুত শুরু করার দাবি


নিজস্ব প্রতিবেদক জুন ২৩, ২০১৮, ১০:৩১ এএম
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি দ্রুত শুরু করার দাবি

ঢাকা : জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকার ও বিরোধী দলের সদস্যরা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির কাজ দ্রুত শুরুর দাবি জানিয়েছেন। তারা বলেছেন, হাজার হাজার শিক্ষক-কর্মচারীর মানবেতর অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে এমপিওভুক্তির কার্যক্রম শুরু করতে হবে। এজন্য শিক্ষাখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর পাশাপাশি প্রয়োজনে বিশেষ বরাদ্দের দাবি জানিয়েছেন তারা।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (২১ জুন) সাধারণ আলোচনায় অংশ নেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নূরুজ্জামান আহমেদ, সরকারি দলের আবদুর রহমান, এবি তাজুল ইসলাম, মুজিবুর রহমান মানিক, ইউনুস আলী সরকার, মো. মাহবুব আলী, ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা, সাবিনা আক্তার তুহিন, সেলিনা বেগম, বেগম ওয়াশিকা আয়শা খান ও সেলিনা জাহান লিটা, জাতীয় পার্টির (জেপি) মো. রুহুল আমিন এবং বিরোধী দল জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ ও নূরুল ইসলাম তালুকদার।

আলোচনায় অংশ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুর রহমান আগামী নির্বাচনকে বানচাল করতে একটি রাজনৈতিক দলকে নির্বাচনে অনিবার্য করে তোলার ষড়যন্ত্র চলছে উল্লেখ করে বলেন, স্বাধীন নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনেই নির্বাচন হবে। নির্বাচনের সময় যে নির্বাচনকালীন সরকার দায়িত্ব পালন করবে সেই সরকারের প্রধান হবেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই কোনো ষড়যন্ত্রে কাজ হবে না। তিনি এমপিওভুক্তির কার্যক্রম দ্রুত শুরুর আহ্বান জানান।

জাতীয় পার্টির সদস্য নূরুল ইসলাম তালুকদার এমপিওভুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, হাজার হাজার শিক্ষক রাস্তায়। তারা শ্রেণিকক্ষে পাঠদানের পরিবর্তে আন্দোলনে নেমেছেন। কিন্তু দেশবাসী প্রত্যাশা করলেও বাজেটে এ বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেই। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে।  

সরকারি দলের মুহিবুর রহমান মানিক বলেন, শিক্ষাবান্ধব এই সরকারের কাছে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির প্রত্যাশা করে। সুশিক্ষা বিকাশে এ বিষয়ে দ্রুত উদ্যোগ নিতে হবে। জাতীয় পার্টির শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত বিশাল বাজেট বাস্তবায়ন করা বিশাল চ্যালেঞ্জ। এক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও নৈতিক শক্ত অবস্থানের প্রয়োজন রয়েছে।

ব্যাংকগুলোতে অনিয়ম, দুর্নীতি ও হরিলুটের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে তার কোনো তথ্য এই বাজেটে নেই। প্রতিবছরই বিপুলসংখ্যক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ছে। এদের কর্মসংস্থানেরও কোনো দিক-নির্দেশনা নেই বাজেটে। স্কুল-কলেজ-মাদরাসা এমপিওভুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উপেক্ষা করা হয়েছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!