• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০
কোচিং না করায় 

শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার দিতে দিলেন না প্রধান শিক্ষক!


আমতলী (বরগুনা)প্রতিনিধি জুলাই ২৩, ২০১৬, ০৫:১৮ পিএম
শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার দিতে দিলেন না প্রধান শিক্ষক!

বাধ্যতামূলক কোচিং ক্লাস না করায়  বরগুনার আমতলী চলাভাঙ্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহ জাহান কবিবের বিরুদ্ধে  শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনা শনিবার (২৩ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে।  

ভুক্তভোগী দশম শ্রেনীর সাবিহা, লুনা, নাসরিন, জাহিদ, জাকারিয়া, তানজিলা, মাসুম বিল্লাহ ও মেহেদী হাসান এবং অষ্টম শ্রেনীর শিক্ষার্থী সাবিনা, শাকিল, সায়েম, সাব্বির, বনি, মহিমা, শারমিন, মেহেরুন্নেছা ও সজীবসহ ৩০/৩৫ জন শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রধান শিক্ষক শাহ জাহান করিব আমাদের বাধ্যতামূলক কোচিং ক্লাস করার জন্য চাপ প্রয়োগ করে আসছিল। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) তিনি আমাদের ডেকে বাধ্যতামূলক কোচিং ক্লাসে আসার জন্য নির্দেশ দেয় এবং কোচিং করতে যারা না আসবে তাদের  বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলে শাসিয়ে দেয়।  

শনিবার আমরা পরীক্ষা দিতে গেলে প্রধান শিক্ষক হলে প্রবেশ করে আমাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহন না করতে দিয়ে হল থেকে বের করে দিয়েছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলেও প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের জানিয়ে দেয়, কোচিং ক্লাসে না আসলে বিদ্যালয়ে আসার প্রয়োজন নেই। পরে শিক্ষার্থী পরীক্ষা না দিয়ে বাড়ী চলে যায়। 

এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের দু’শিক্ষার্থী দশম শ্রেনীর সাবিহা ও অষ্টম শ্রেনীর সাবিনা আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম দেলওয়ার হোসেনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। 
 
বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী সাবিনা জানান, কোচিং ক্লাস যারা না করে সে সকল শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় ভালো নম্বর পেলেও তাদের কম নম্বর দেয়। আর যারা কোচিং করে তাদের বেশী নম্বর দিয়ে দেয়। সে আরো জানান, পরীক্ষার দিন রাতে যারা কোচিং করে তাদের প্রধান শিক্ষক পরীক্ষার প্রশ্ন দিয়ে দেয়। সে আরো জানায় প্রধান শিক্ষক আমাকে ঘাড় ধরে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দিয়েছে। আমার ঘাড়ে প্রচন্ড ব্যাথা।

বিদ্যালয়ের অভিভাবক স্বপন আকন ও মকবুল মাতুব্বর জানান, প্রধান শিক্ষক শাহ জাহান রাতে কোচিং ক্লাসে আসার জন্য নির্দেশ দেয়। কিন্তু আমার মেয়ে কোচিং না করায় শনিবার পরীক্ষা না নিয়ে পরীক্ষার হল থেকে বের করে দিয়েছে। আমি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই। 

এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম দেলওয়ার হোসেন জানান, অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগটি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান কবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন আমি কাউকে কোচিং ক্লাস করাতে বাধ্য করিনি এবং পরীক্ষার হল থেকে নামিয়ে দেয়নি। কেন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করেনি এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন এ বিষয়টি আমার জানা নেই।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম
 

Wordbridge School
Link copied!