• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী


নিজস্ব প্রতিবেদক ডিসেম্বর ৩১, ২০১৬, ১২:১৪ পিএম
শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

গণভবনে শিশু শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে ২০১৭ সালের বই উৎসবের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।

নতুন শিক্ষাবর্ষের জন্য বিনামূল্যে বই বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করে শেখ হাসিনা বলেন, আজকে খুব আনন্দের দিন। নতুন বই মানে আলাদা আনন্দ।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরের বছর থেকে ১ জানুয়ারি সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই বিতরণ করে। একে পাঠ্যপুস্তক উৎসব নাম দেয়া হয়েছে। শুরুতে কেবল প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা সবাই নতুন বই এই বই পেলেও গত তিন বছর ধরে মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীদেকেও বিনামূল্যে বই দেয়া হচ্ছে।

বই বিতরণ কর্মসূচি উদ্বোধনের আগে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের কয়েকজন শিশুর হাতে বই তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। এদের মধ্যে কয়েকজন অটিস্টিক ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীও রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে বই দেয়ার পাশাপাশি নানা উদ্যোগের ফলে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। পাসের সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে। কমেছে ঝরে পড়ার হার।

গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ হওয়া প্রাথমিক সমাপনীতে পাস করেছে ৯৮ শতাংশেরও বেশি। একই দিন প্রকাশ হওয়া অষ্টম শ্রেণি সমাপনীতেও পাসের হার ৯২ শতাংশের বেশি। একইভাবে এসএসসি, এইচএসসি বা পরবর্তী ধাপগুলোতেও পাসের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে।

সমালোচনা আছে, পাসের সংখ্যা বাড়লেও শিক্ষার মান বাড়ছে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পড়াশোনার মান নিয়ে যারা প্রশ্ন তোলেন তাদেরকে আমি বলবো, একদিনে সব কিছু হয়ে যায় না। আর মানের মাত্রাটা কী সেটার ব্যাখ্যাটা আমরা পাই না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যারা প্রশ্নটা তোলেন তাদের কাছ থেকে মানের মাত্রাটা আমরা পেতাম আর তারাও যদি একটু ভলেন্টিয়ার সার্ভিস দিতেন, কোন কোন এলাকায় মাত্রা ঠিক নেই, তারা সেখানে গেলেন, একটু পড়ালেন, কিছু সময় খরচ করলেন তাহলে আমরা খুশি হতাম।’ তিনি বলেন, ‘একটা কথা বলে ফেলতেই তো হবে না। সেটা কীভাবে কার্যকর করা যায়, আর কার্যকর করার জন্য সহযোগিতা করা উচিত বলে আমরা মনে করি।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্কুলে পড়াশোনার পাশাপাশি প্রযুক্তি শিক্ষা ও সব ধরনের শিক্ষার ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি। সাথে সাথে খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক শিক্ষা-সব কিছুর ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি, যা আমাদের শিশুদের মনের বিকাশ ঘটাতে পারবে, তাদের মেধা মননের বিকাশ ঘটাতে পারবে। তাদের সুস্বাস্থ্য হবে, তাদের মন আরও উন্নয়ন হবে, সেটাই আমরা চাই।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইউ

Wordbridge School
Link copied!