• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ, ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শিশু ধর্ষণ মামলার আসামির জামিন প্রত্যাহার


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৪, ২০১৮, ০২:০০ পিএম
শিশু ধর্ষণ মামলার আসামির জামিন প্রত্যাহার

ঢাকা : নথি জালিয়াতির মাধ্যমে জামিন নেওয়া শিশু ধর্ষণ মামলার আসামি বিল্লাল ভূঁইয়ার জামিন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে মামলার তদবিরকারককে আগামী ২৭ মে তলব করেছেন আদালত। সম্প্রতি বিচারিক আদালতে জামিন জালিয়াতির বিষয়টি নজরে আসে।

পরে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের আইন কর্মকর্তা জালিয়াতির ঘটনা অবহিত করলে বুধবার (২৩ মে) বিচারপতি মো. শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ জামিন বাতিলের এ আদেশ দেন।

আদালতে সরকার পক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, গাজীপুর সদরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাস এলাকার নয়নপুর গ্রামের ফিরোজ মিয়ার ছেলে মো. রবিউল ইসলামকে আবেদনে তদবিরকারক হিসেবে দেখানো হয়েছে। আবেদনকারী আইনজীবী হলেন মো. জামাল উদ্দিন।

কিন্তু জামাল উদ্দিনের যে পরিচয়পত্র দেখানো হয়েছে তাতে আসল আইনজীবী হচ্ছেন মো. হারুন অর রশীদ। গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর উপজেলার শ্রীপুরে এক শিশুকে ঘর ঝাড়– দেওয়ার কথা বলে বিদেশফেরত প্রতিবেশী বিল্লাল ভূঁইয়া (৪৫) ধর্ষণ করে। বিল্লাল একই গ্রামের মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে। তার স্ত্রী ও ছেলে বিদেশে থাকে। ধর্ষণের ঘটনা প্রকাশ না করার হুমকি দিয়ে ভুক্তভোগীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় বিল্লাল। একপর্যায়ে শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার মাকে ধর্ষণের কথা জানায়।

শিশুর মা ধর্ষক বিল্লাল ভূঁইয়া (৪৫), তার ভাই দুলাল ভূঁইয়ার ছেলে রুবেল ভূঁইয়া (২২) ও মৃত তাজউদ্দিনের ছেলে হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়াকে (৪৫) আসামি করে মামলা করেন। মামলার পর থেকে বিল্লাল ভঁ‚ইয়া পলাতক ছিল। এর মধ্যে মেডিকেল প্রতিবেদনে ধর্ষণের প্রমাণও মিলেছে। পরে ১৭ নভেম্বর এ মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। এ মামলা এখন সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে।

চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি আসামি বিল্লাল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠায়। গত ২৪ এপ্রিল গাজীপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন করেন বিল্লাল। কিন্তু ওই আবেদনটি খারিজ হয়ে যায়। এরপর গত ৯ মে মামলার নথি জালিয়াতি করে হাইকোর্ট থেকে জামিন নেন বিল্লাল।

হাইকোর্টে দাখিল করা ওই আবেদনে উল্লেখ করা হয়, মেয়েটির বয়স ২১ (প্রকৃত বয়স ১০ বছর)। দুজন একে অন্যকে ভালোবাসে। মেয়ের মা পছন্দ করেন না বলে মামলা করেছেন। ধর্ষণের ঘটনাও ঘটেনি। মেডিকেল প্রতিবেদনে ধর্ষণের প্রমাণ নেই। হাইকোর্ট থেকে জামিন নেওয়ার পর তা বিচারিক আদালতে জমা দেওয়া হলে সেখানে জালিয়াতির বিষয়টি ধরা পড়ে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!