• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শীর্ষ ৩ পদ শূন্য, স্থবির বেরোবি


নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর মে ১৪, ২০১৭, ০৫:৫৫ পিএম
শীর্ষ ৩ পদ শূন্য, স্থবির বেরোবি

রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি) প্রতিষ্ঠার পর থেকেই উপ-উপাচার্য পদে কাউকে নিয়োগ দেয়া হয়নি। গত ৫ মে নতুন করে শূন্য হয়েছে উপাচার্যের পদটিও।

বর্তমানে বেরোবির উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষের শীর্ষ তিন পদে দায়িত্বে কেউ নেই। এ অবস্থায় রোববার (১৪ মে) শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম। আর সোমবার (১৫ মে) থেকে শুরু হবে শিক্ষা কার্যক্রম। অভিভাবকহীন এই ক্যাম্পাস জুড়ে নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা।

অন্যদিকে শীর্ষ তিন পদের শূন্যতায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাজে বড় ধরণের স্থবিরতা নেমে আসার শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্টরা।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ৬ মে চার বছরের জন্য ঢাবির (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়) সাবেক প্রক্টর ও পপুলেশন সায়েন্সেস বিভাগের অধ্যাপক  ড. এ কে এম নূর-উন-নবীকে বেরোবির তৃতীয় উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন আচার্য (রাষ্ট্রপতি)। সে হিসেবে শুক্রবার (৫ মে) তার মেয়াদকাল শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু ছুটি থাকায় বৃহস্পতিবারই (৮ মে) তিনি শেষ কর্মদিবস অতিবাহিত করেন। বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ- শীর্ষ এ তিন শূন্য পদে নিয়োগ দেবেন আচার্য।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্র জানায়, সদ্যবিদায়ী উপাচার্য নির্ধারিত দায়িত্ব পালনের বাইরে একাই ১৩টি পদের দায়িত্ব সামলাতেন। তাই উপাচার্য পদটি শূন্য হওয়ার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ, তিনটি অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও কয়েকটি দপ্তরের পরিচালকসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদেও শূন্যতা দেখা দিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে উপ-উপাচার্য না থাকা এবং কোষাধ্যক্ষ পদটি শূন্য থাকায় শিক্ষা ও প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতা বিরাজ করছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের আওতার মধ্যে যেসব প্রশাসনিক কাজ আছে তারা সেগুলো করছেন। যেসব কাজের জন্য উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়, সেগুলো তারা সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠাচ্ছেন। সেখানেই ফাইল জমা পড়ে থাকছে।

দ্রুত উপাচার্য নিয়োগ না দেয়া হলে বিভিন্ন কাজের জন্য আর্থিক অনুমোদন, সিন্ডিকেট সভা, শিক্ষকদের বিদেশে যাওয়া, শিক্ষা ছুটির অনুমোদন, প্রমোশন আবেদনপত্র, শিক্ষার্থীদের ফলাফল প্রকাশ ও সনদে স্বাক্ষরের মতো কাজগুলো আটকে যাবে বলে একাধিক দপ্তর জানিয়েছেন। এছাড়া প্রশাসনের শীর্ষ তিন পদ শূন্য হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্ত্বা নিয়েও উদ্বিগ্ন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (চলতি দায়িত্ব) মীর তামান্না ছিদ্দিকা এ প্রসঙ্গে বলেন, উপাচার্য না থাকায় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থার অবনতি হবে না বলে আশা করছি। তবে যে বিষয়গুলোতে উপাচার্যের সিদ্ধান্তের প্রয়োজন হয় এবং আমার এখতিয়ারের বাইরে সেই বিষয়গুলো সমাধানে সমস্যা হবে।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/এমএইচএম

Wordbridge School
Link copied!