• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১
দুই দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী

শুক্রবার শান্তিনিকেতনে হাসিনা-মোদি বৈঠক


নিজস্ব প্রতিবেদক মে ২৪, ২০১৮, ০১:৫৪ পিএম
শুক্রবার শান্তিনিকেতনে হাসিনা-মোদি বৈঠক

ঢাকা : শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে দুই দিনের সফরে ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। সেখানে দুই নেতার বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিরও ওই বৈঠকে থাকার কথা রয়েছে।   

বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত সমাবর্তনে ‘সম্মানিত অতিথি’ হিসেবে বক্তব্য রাখবেন শেখ হাসিনা। পরদিন ২৬ মে পশ্চিমবঙ্গের আসানসোলে কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। সমাবর্তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সম্মানসূচক ডক্টর অব লিটারেচার (ডিলিট) উপাধিতে ভূষিত করবে বিশ্ববিদ্যালয়।

বুধবার (২৩ মে) বিকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী। সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এবং পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হকও উপস্থিত ছিলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৫ ও ২৬ মে দুই দিনের ভারত সফরে যাচ্ছেন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে আমি, শিক্ষামন্ত্রী, সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টারা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থাকবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীরা আগামী ২৬ মে ঢাকায় ফিরবেন বলেও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরকালে তিস্তা চুক্তি নিয়ে আলোচনা থাকবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যথাসময়ে প্রকাশ্য। এখন এ বিষয়ে এর বেশি কিছু বলা যাবে না। কবে নাগাদ এ চুক্তি হতে পারে- এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদ আলী বলেন, নির্দিষ্ট সময়সীমা দিয়ে এ ধরনের চুক্তি হয় না। আর আমরা এ নিয়ে বেশিকিছু বলতে চাই না। কারণ বিরোধী দল বিএনপির নেত্রী পরে বলবেন জোড়াতালি দিয়ে কিছু হচ্ছে। আর তাদের মহাসচিব বলবেন, তিনি কোনো উন্নয়ন দেখছেন না।

শান্তিনিকেতনে ‘বাংলাদেশ ভবন’ উদ্বোধনের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ২৫ কোটি ভারতীয় রুপি। বাংলাদেশ ভবনের রক্ষণাবেক্ষণ ও সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১০ কোটি রুপির সমতুল্য একটি এককালীন স্থায়ী তহবিলও গঠন করা হবে। বাংলাদেশ সরকার প্রদত্ত এই তহবিলের অর্জিত লভ্যাংশ থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশের ১০ শিক্ষার্থীকে এমফিল ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য ফেলোশিপ দেওয়া হবে। এ বিষয়ে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ভবন নির্মাণ পরবর্তী পরিচালনা কার্যক্রম সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্বাক্ষরিত হবে।    

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে ভারতের সহায়তা নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের পর সেখানে বসবাসের জন্য বাসস্থান নির্মাণ করে দিচ্ছে ভারত। তারা সবসময়ই এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সহায়তা করছে। এক্ষেত্রে চীন, জাপান এবং ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোও সহায়তা করছে। ভারতে সেখানে বাসস্থান, হাসপাতাল, স্কুল এবং সড়ক অবকাঠামো নির্মাণ করে দেবে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মিয়ানমার থেকে প্রায় ২৫০ বছর আগে প্রথম শরণার্থী হিসেবে এদেশে এসেছিল বৌদ্ধরা। তারা বর্তমানে কুয়াকাটায় বসবাস করছে। এরপরও বিভিন্ন সময়ে বৌদ্ধরা এসেছে।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!