• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

শুধু মালিক নয়, শ্রমিকদের জন্যও কাজ করছে সরকার


নিজস্ব প্রতিবেদক ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০১৮, ০১:৪৬ পিএম
শুধু মালিক নয়, শ্রমিকদের জন্যও কাজ করছে সরকার

ঢাকা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শুধু মালিক নয়, চা শ্রমিকদের উন্নয়নেও কাজ করছে সরকার। এমনকি চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। চা শিল্পের উন্নয়নে মালিক ও শ্রমিকদের পারস্পরিক সহযোগিতা আরও বাড়াতে হবে।  চা শ্রমিকদের ঘরবাড়ি নির্মাণে বাগান মালিকদের ২ শতাংশ হারে গৃহায়ণ ঋণ দেয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে বাংলাদেশ চা প্রদর্শনী-২০১৮ উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ১৮ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে।

চা বাগান মালিকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী এ গৃহায়ণ ঋণ দেয়ার ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, আমরা আশ্রয়ণ প্রকল্প করেছি। কেউ কুঁড়েঘরে থাকবে না। চা শ্রমিকরাও যাতে ঘরবাড়ি পায় সে জন্য গৃহায়ণ তহবিল থেকে ২ শতাংশ সার্ভিস চার্জের মাধ্যমে চা বাগানের মালিকদের ঋণ দেয়া হবে। এই ঋণ ৫ শতাংশের ওপর আদায় করা যাবে না। আর গৃহায়ণ তহবিলের শর্ত অনুসারে, প্রতিটি বাড়িতে বিনা খরচে একটি করে স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগার নির্মাণ করে দিতে হবে।

চা শিল্পের উন্নয়নে শ্রমিক-মালিকদের পারস্পরিক সহযোগিতার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। এ সময় চা শ্রমিকদের কল্যাণে নজর দিতে বাগান মালিকদের প্রতি নির্দেশ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চা শ্রমিকরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পাতা তুলেন, বাগানের পরিচর্যা করেন। তাদের কল্যাণে বিশেষ করে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের প্রতি আপনাদের নজর দিতে হবে। পাশাপাশি শ্রমিকদেরও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে চা উৎপাদনেও আমরা যথেষ্ট উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। চা মালিকদের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষেতে জেনারেটরের ওপর থেকে ট্যাক্স তুলে নেই। চা শ্রমিক ও তাদের পরিবারের স্বাস্থ্য, শিক্ষা , গর্ভবতী মায়েদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, চায়ের গবেষণা ও এর বহুমুখি ব্যবহার বাড়াতে নজর দিতে হবে। দেশে বর্তমানে চায়ের উৎপাদন সাড়ে আট কোটি কেজি। যা ২০২৫ সালে ১৪ কোটি কেজিতে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে সরকার।

এ বছরও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চায়ের একটি ক্লোন জাত (বিটি-২১) অবমুক্ত করা হয়। এছাড়া চা শিল্প সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেওয়া হয়। ক্যাটাগরিগুলো হলো-

শ্রমিককল্যাণের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, চা উৎপাদনের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, চায়ের গুণগত মানের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, দৃষ্টিনন্দন চা মোড়কের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা কোম্পানি, বৈচিত্র্যময় চা-পণ্য বাজারজাতের ভিত্তিতে শ্রেষ্ঠ চা বাগান, শ্রেষ্ঠ স্মল গ্রোয়ার ও প্রদর্শনীর শ্রেষ্ঠ প্যাভিলিয়ন।

চা প্রদর্শনী উপলক্ষে ‘লেবার ওয়েলফেয়ার ইন টি গার্ডেনস ইন বাংলাদেশ’, ‘প্রসপেক্ট অব টি ট্যুরিজম ইন বাংলাদেশ’ ও ‘টি অ্যান্ড ইওর হেলথ’ শীর্ষক বিষয়ে তিনটি টিভি টকশোর আয়োজন করা হবে। এছাড়া প্রতিদিনই থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দেশের জনপ্রিয় সংগীতশিল্পীদের পাশাপাশি বান্দরবান, শ্রীমঙ্গলের অঞ্চলের মানুষরা তুলে ধরবেন আঞ্চলিক সংস্কৃতি। দর্শনার্থীরা অনলাইনে নাম নিবন্ধনের মাধ্যমে এসব পরিবেশনা উপভোগ করতে পারবেন। উদ্বোধনী দিন বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা এবং ১৯ এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১১টা থেকে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেলা চলবে। দর্শনার্থীদের কোনো প্রবেশমূল্য লাগবে না।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!