• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শুরুতেই বাংলাদেশকে চাপে ফেললেন লিটন-সাকিব


ক্রীড়া প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৮, ০৫:৪৯ পিএম
শুরুতেই বাংলাদেশকে চাপে ফেললেন লিটন-সাকিব

ফাইল ছবি

ঢাকা: আঙ্গুলের চোট নিয়ে সাকিব আল হাসানের খেলা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছিল। তবে বিসিবির পরামর্শে চোট নিয়েই খেলতে নেমেছিলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। কিন্তু লাসিথ মালিঙ্গার বল মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয়ে ফিরলেন সাকিব। তার আগে মালিঙ্গার প্রথম শিকার হয়ে বিদায় নেন লিটন দাস।  

ইনিংসের প্রথম ওভারে লাসিথ মালিঙ্গার করা পঞ্চম বলে অফ স্টাম্পের বাইরের বলে কাট করতে গিয়ে বিপদে পড়েন লিটন। রানের খাতা খোলার আগেই ফেরেন এই ওপেনার। একই ওভারে কিছু বুঝে ওঠার আগেই লাসিথ মালিঙ্গার বলে বোল্ট হন সাকিব। এই প্রতিবেদন লিখার সময় ২ উইকেট হারিয়ে ২ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। তামিম ইকবাল ২ এবং মুশফিকুর রহীম ০ রান নিয়ে ব্যাট করছেন। 

শনিবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস নামক ভাগ্য পরীক্ষায় জিতে এশিয়া কাপের ১৪তম আসরে নিজেদের মিশন শুর করল বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নিয়েছেন লাল সবুজ দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে আজকে যে পিচে খেলা হবে সেটি ঘাসবিহীন। ব্যাটসম্যানরা সুবিধা পাবেন এটা বলতে দ্বীধা নেই। তবে স্পিনাররা কোনও সুবিধা আদায় করতে পারবেন না। উইকেট শিকার করতে তাদের রীতিমত যুদ্ধ করতে হবে। সেই কারণে টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছে বাংলাদেশ দল। শুরুতে ৪১ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যেই খেলতে হবে দুই দলকে।  

সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজে ওয়ানডে খেলা বাংলাদেশ একাদশে দুটি পরিবর্তন এসেছে। বাদ পড়েছেন এনামুল হক আর সাব্বির রহমান। ঢুকেছেন লিটন দাস আর মোহাম্মদ মিঠুন।  ইনজুরির কারণে তামিম ইকবালের খেলা নিয়ে সংশয় ছিল। তবে সব শঙ্কা উড়িয়ে শেষ পর্যন্ত তামিম খেলছেন।

১৯৮৬ সালে প্রথম এশিয়া কাপে অংশ নেয় বাংলাদেশ। ২০১০ সাল পর্যন্ত ৯ বার এশিয়া কাপ খেলেছে টাইগাররা। কাঙ্খিত সাফল্যের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টাও করেছে। কিন্তু কোনবারই ফাইনালে উঠতে পারেনি বাংলাদেশ। অবশেষে ২০১২ সালে বাংলাদেশের মনের আশা পূরণ হয়। ফাইনালে খেলে তারা। কিন্তু রানার্স-আপ হয়েই শান্ত থাকতে হয় টাইগারদের। পরের আসরে আবারও ব্যর্থতার ষোলোকলা পূর্ণ করে বাংলাদেশ।

তবে ব্যর্থতার ষোলোকলা পরের আসরেই মুছে ফেলে টাইগাররা। মাশরাফির নেতৃত্বে আবারো এশিয়া কাপের ফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ। কিন্তু এবারও ভাগ্য সহায় হয়নি বাংলাদেশের। এবার ভারতের কাছে হার মেনে দ্বিতীয়বারের মত রানার্স-আপ হয় টাইগাররা। তবে এবার পুরনো দুঃখ ভুলে যেতে চায় বাংলাদেশ।

দলের অন্যতম ভরসা পঞ্চপান্ডব। মাশরাফি, সাকিব, মুশফিকুর, তামিম ও মাহমুদুল্লাহ। গেল কয়েক বছর যাবত এই পাঁচজন খেলোয়াড়ের উপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশের সাফল্য। এই পাঁচজন মিলে খেলেছেন ৯০১ ওয়ানডে। এমন অভিজ্ঞতা এবারের আসরে এগিয়ে রাখবে বাংলাদেশকে, এটি বলার অপেক্ষা রাখে না। কারন ওপেনার হিসেবে দলকে ভালো শুরু এনে দেয়ার কাজটা দায়িত্ব নিয়েই করছেন তামিম। সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে ৩ ইনিংসে ২টি সেঞ্চুরি ও ১টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ২৮৭ রান করেছেন তামিম।

মিডল-অর্ডারে প্রয়োজন অনুযায়ী বড় ইনিংস খেলছেন মুশফিকুর, সাকিব ও মাহমুদউল্লাহ। দলের পেস অ্যাটাকে অন্যতম ভরসা অধিনায়ক মাশরাফি। ক্যারিবীয় সফরে সেটি আবারো প্রমান দিয়েছেন ম্যাশ ম্যাচে সিরিজের সর্বোচ্চ ৭ উইকেট নেন মাশরাফি। তার অভিজ্ঞতার সাথে তরুনদের পারফরমেন্স জ্বলে উঠলে এশিয়া কাপে শিরোপা খড়া ঘুচবে বাংলাদেশের।

ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ৪৪বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। জয়ের পাল্লায় এগিয়ে লংকানরা। ৩৬টি ম্যাচ জিতেছে তারা। বাংলাদেশের জয় ৬টি।

বাংলাদেশ একাদশ: মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহীম (উইকেটরক্ষক), মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মোহাম্মদ মিঠুন, মেহেদি হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান।

শ্রীলঙ্কা একাদশ: অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ (অধিনায়ক), উপুল থারাঙ্গা, ধনঞ্জয়া, কুশল পেরেরা, কুশল মেন্ডিস, থিসারা পেরেরা, দাসুন সানাকা, লাসিথ মালিঙ্গা, সুরঙ্গা লাকমাল, আলফোনসো, দিলরুয়ান পেরেরা।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/জেডআই

Wordbridge School
Link copied!