• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ রাসেল চলচ্চিত্র উৎসব শুরু


সাহিত্য-সংস্কৃতি প্রতিবেদক অক্টোবর ১৮, ২০১৬, ০৮:১৭ পিএম
শেখ রাসেল চলচ্চিত্র উৎসব শুরু

ঢাকা: শিশু-কিশোরদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিয়ে ইতিবাচক ধারায় তাদের জীবনমুখী করতে প্রথমবারের মতো শুরু হলো ‘শেখ রাসেল জাতীয় শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসব-২০১৬’। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠপুত্র শেখ রাসেলের ৫২তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই উৎসব শুরু হয়েছে।

‘চলচ্চিত্র হোক শিশুর স্বপ্নের মতো রঙিন’ এই স্লোগানে প্রথমবারের মতো মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ শিশু একাডেমি কেন্দ্রীয় অফিস এবং ৮টি বিভাগে একসঙ্গে পাঁচদিন ব্যাপী শুরু হয়েছে এ উৎসব।

এ উপলক্ষে শিশু একাডেমির শেখ রাসেল চত্বরে উৎসবের উদ্বোধন করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি। একই সময়ে তিনি ‘শেখ রাসেল গ্যালারিতে শেখ রাসেলের দুর্লভ ৬২টি ছবির স্থায়ী প্রদর্শনীও উদ্বোধন করেন।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-উৎসব কমিটির আহ্বায়ক বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন ও উৎসব কমিটির সদস্য সচিব বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন-মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাছিমা বেগম এনডিসি, চলচ্চিত্র নির্মাতা সালাহউদ্দিন জাকি, আশরাফ শিশির, সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আরাফাত এ রহমানসহ দেশ বরেণ্য কবি-সাহিত্যিক, সাংস্কৃতিক অঙ্গণের বিশিষ্ট ব্যক্তিসহ শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতারা।

প্রধান অতিথি মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, শিশুদের জন্য নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে যা যা করণীয় সরকার তার সব কিছুই করছে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা শেখ রাসেলকে হত্যা করে বাংলাদেশকে কলঙ্কিত করেছিল। তারা এতোই নিষ্ঠুর ও নির্মম ছিল যে ছোট্ট শিশু রাসেলও তাদের হাত থেকে রেহাই পায়নি। তারপর থেকে বাংলাদেশে শিশু অধিকার ও শিশুর নিরাপত্তা চরমভাবে লঙ্ঘিত হয়েছে। বর্তমান সরকার শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ বাংলাদেশ নির্মাণে কাজ করে যাচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে বাংলাদেশ খেলাধুলায় আরো উন্নতি করতে পারতো। বেঁচে থাকলে বাংলাদেশেকে দিতে পারতো আরো অনেক কিছু।

দেশের ৮টি বিভাগে এই উৎসব উদযাপিত হবে। উৎসবে ১৭টি চলচ্চিত্রের ২২টি প্রদর্শনী হবে। উৎসবের উদ্বোধনী দিনের সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত প্রদর্শিত হয়-আরাফাত বিন জাহাঙ্গীরের ‘ভোরের যাত্রা’, আশরাফ শিশিরের ‘গাড়িওয়ালা’, কাজী শাহেদুর রহমানের ‘সোলজার’, তানিম শাহরিয়ারের ‘ডিজিটাল কোশচেন’, বিজয় কর্মকারের ‘দো-তলার গল্প’, প্রিন্স রোমান পিকিউয়ের ‘অনুকরণ’।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) উৎসবের দ্বিতীয় দিন বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। এদিন নির্ধারিত থাকবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য। চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ফাঁকে ফাঁকে থাকবে প্রাসঙ্গিক সংক্ষিপ্ত আলোচনা। আর আগামী ২১ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় শুরু হয়ে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। উল্লেখ্য, এ সমস্ত চলচ্চিত্রের নির্মাতা, পরিচালক ও ভিডিও ধারণকারী সবাই শিশু।

সোনালীনিউজ/এমএন

Wordbridge School
Link copied!