• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনার পক্ষে লড়বে তৌহিদী জনতা


নিজস্ব প্রতিবেদক সেপ্টেম্বর ২১, ২০১৮, ০২:৩৯ পিএম
শেখ হাসিনার পক্ষে লড়বে তৌহিদী জনতা

ঢাকা : গত বুধবার দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স (স্নাতকোত্তর) ডিগ্রির সমমান দিয়ে জাতীয় সংসদে বিল পাস হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কোনো ষড়যন্ত্র হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছে কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ (বেফাক)।

বৃহস্পতিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাদ আছর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে আয়োজিত শোকরানা মিছিলপূর্ব সমাবেশে এ ঘোষণা দেন বেফাক নেতারা। এসময় উক্ত বিল পাস করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা. মন্ত্রিপরিষদ, স্পিকার, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, সংসদ সদস্যসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি শুকরিয়া জানান তারা।

বেফাকের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশরাফ আলী বলেন, ‘কওমী মাদরাসা কোনো সন্ত্রাসী তৈরি করে না, দুর্নীতিবাজ তৈরি করে না। কওমী মাদরাসা তৈরি করে আদর্শ সুনাগরিক, মোহাদ্দেস, মোফাসসের, ইসলামী চিন্তাবিদ। দাওরায়ে হাদিস পাস করে মানুষ খতিব হন, ইমাম হন।তারা জাতিকে সঠিক পথের নির্দেশনা দেন।’

বেফাকের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস বলেন, ‘এর আগে অনেক সরকার গেছে, কিন্তু দাওরায়ে হাদিসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। বর্তমান সরকার সেই স্বীকৃতি দিয়েছে।’

বেফাকের শীর্ষ নেতা ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ বলেন, ‘আমরা পরিষ্কাভাবে বলতে চাই, কওমী মাদরাসার স্বীকৃতি দেওয়ার কারণে যদি প্রধানমন্ত্রীর ও তার, সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হয়, তাহলে বাংলাদেশের তৌহিদি জনতা সরকারের পক্ষে লড়াই করবে।’

ওলানা জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘বহু সরকার এ দেশে এসেছে। কিন্তু তারা অবহেলা করেছে, আমাদের এই দাবির গুরুত্ব দেয়নি। কওমী মাদরাসার ছাত্ররা টানা ১৭ বছর শিক্ষানীতি, বাণিজ্যনীতি, আদালতি, অর্থনীতি, রাজনীতি, কৃষিনীতির ওপর জ্ঞান লাভ করে। কিন্তু তারা মান পায়। তাদের যে প্রতিভা আছে, সেই প্রতিভার মূল্যায়ন হয় না।’প্রধানমন্ত্রীর একান্ত ইচ্ছায় কওমী মাদরাসার ছাত্ররা মাস্টার্সের মান পেয়েছে।’

বেফাক নেতা আবুল হাসনাত আমিনী বলেন, ‘ওলামাদের স্বার্থ যেখান থেকে হাসিল করতে পারব, আমরা অকপটে তাদের সাপোর্ট দিয়ে যাব। আমি একটি মাধ্যম থেকে শুনতে পেরেছি কওমী সনদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য নাকি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়তে হবে। এ জন্য যদি তাকে ক্ষমতা থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র হয়, আমার বিশ্বাস বাংলার সব ওলামা তার পক্ষে দাঁড়াবে।’

বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে সমাবেশ শেষে কয়েক হাজার মাদ্রাসা শিক্ষার্থীসহ বেফাক নেতারা শোকরানা মিছিল নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবে যান। সেখানে মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শোকরানা কর্মসূচি শেষ হয়।

সোনালীনিউজ/এমটিআই

Wordbridge School
Link copied!