• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

শেখ হাসিনার সম্মানে নৈশভোজে মমতাকে আমন্ত্রণ


আন্তর্জাতিক ডেস্ক মার্চ ৩১, ২০১৭, ০৫:১১ পিএম
শেখ হাসিনার সম্মানে নৈশভোজে মমতাকে আমন্ত্রণ

ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ এপ্রিল তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি যাচ্ছেন। এবারের সফরে প্রণবের আহ্বানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে থাকার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। এসময় দেশটির রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মানে একটি নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। সেই খাবার টেবিলে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিকে।

ইতিমধ্যে আমন্ত্রণের চিঠি মমতার কাছে পাঠিয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন। তবে, নৈশভোজে মমতা উপস্থিত থাকবেন কি-না, তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

মমতার আপত্তির কারণে ঝুলে আছে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যেম অনুযায়ী ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চুক্তির ব্যাপারে রাজি হলেও বাধ সেধেছেন মমতা। সর্বশেষ তথ্য মতে এ নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মমতা এখনো একমত হননি। 

পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ বাদ দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি করবেন না মমতা। দৃঢ়তার সঙ্গে একথা তিনি সম্প্রতি ভারতের এক টেলিভিশন চ্যানেলেও বলেছেন। সে সময় মমতা বলেছেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ক অটুট রয়েছে। তবে রাজ্যের স্বার্থহানি হয়, এমন কোনো কাজ তিনি করবেন না।

আন্তর্জাতিক নদী হিসেবে তিস্তার পানি বণ্টন নিয়ে চুক্তি করতে সময়ে সময়ে দিল্লির প্রতি আহ্বান কিরে আসছে বাংলাদেশ। বরাবরই প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসলেও এখনো চুক্তিটি করেনি ভারত।

সেই টেলিভিশনের আলোচনায় মমতা ব্যানার্জির অভিযোগ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গকে এড়িয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা চুক্তি করতে চাইছে। আমি তো শুনছি ২৫ মে নাকি বাংলাদেশে গিয়ে তিস্তা চুক্তি হবে। অথচ আমি এখনো কিচ্ছু জানি না। তোমরা যদি সবকিছু রেডি করে আমাকে বলো স্ট্যাম্প মারার জন্য, স্যরি! আমাকে রাজ্যের স্বার্থ দেখতে হবে। আমি বাংলাদেশকে ভালোবাসি। বাংলাদেশকে যতটা হেল্প করার আমি করব, তবে রাজ্যকে বাঁচিয়ে বলে মন্তব্য করেন মমতা।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের ঢাকা সফরে তিস্তা নিয়ে চুক্তি হওয়ার কথা থাকলেও মমতার আপত্তিতে সেবার তা আটকে যায়। বর্তমান রাষ্ট্রপতি প্রণব তখনকার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন। এরপর বিজেপি নেতা নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়ে ২০১৫ সালে ঢাকা এলেও তিস্তার জট খোলেনি। সেবারও আশ্বাস দিয়েই বিদায় নিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরের সময়ে ফের আলোচনায় এল তিস্তা। আদৌ তিস্তা চুক্তি হবে-কি না, তা যেমন বলা যাচ্ছে না। তেমনি নৈশভোজে গেলেও হাসিনা-মমতার আলাপ হবে কি-না তা বলতে পারছেন না কেউ।তবে, ভারত সকার চাইছে চুক্তি না হলেও অন্তত হাসিনা-মমতা বৈঠক হোক।

সোনালীনিউজ/ঢাকা/আতা

Wordbridge School
Link copied!