• ঢাকা
  • বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

শেবাচিমে প্রসুতি নারীর পেটে চিকিৎসকের লাথি!


নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল নভেম্বর ২০, ২০১৭, ১১:০৬ এএম
শেবাচিমে প্রসুতি নারীর পেটে চিকিৎসকের লাথি!

বরিশাল: বরিশাল শেরেবাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালে শিক্ষানবীশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসকদের হামলায় প্রসুতি নারী ও তার স্বামী আহত হয়েছে। এসময় উভয় পক্ষে মারামারি বেধে গেলে উত্তেজনা দেখা দেয়।

রোববার (১৯ নভেম্বর) সকাল ৬টায় হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন নগরীর আমতলা এলাকার বাসিন্দা প্রসুতি রোগী আমেনা বেগম ও তার স্বামী শাহিন ঢালী।

রোগীর স্বজন শাহিন ঢালী জানান, তার স্ত্রী গত ৮ নভেম্বর নগরীর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে সন্তান প্রসব করলেও রক্তরন বন্ধ হয়নি। স্বজনরা গত শুক্রবার তাকে শেবাচিম হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করলে ২দিনে রোগীর শরীরে ৫ ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়।

রোগীর শরীরে আরো রক্ত দরকার বলে জানান চিকিৎসকরা। শনিবার রাতে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসকের নির্দেশে এক ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করা হলেও ওই চিকিৎসকের আর কোন খোঁজ মিলেনি। ওই রাতেই রোগীর পেটে ব্যাথা আরো বাড়তে থাকে। এ অবস্থায় রোগীর স্বজনা বারবার চিকিৎসক ডাকতে গেলে তারা বিরক্ত হন।

রোববার সকালে রাকিব নামে একজন ইন্টার্ন চিকিৎসক রোগীর ব্যবস্থাপত্রে ‘রক্ত ম্যানেজ করতে না পাড়ায় রোগীর অবস্থার উন্নতি হচ্ছে না’ বলে নোট লিখেন।

শাহীন ঢালী অভিযোগ করেন, তিনি এর প্রতিবাদ জানালে ইন্টার্ন চিকিৎসক রাকিবের সঙ্গে বাদানুবাদ হয়। খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অন্যান্য ইন্টার্ন চিকিৎসকরা তাকে (শাহিন ঢালী) বেদম মারধর করে। এ সময় কোন এক ইন্টার্ন চিকিৎসকের লাথিতে স্ত্রী আমেনার পেটে আঘাত লাগে বলে দাবী করেন শাহিন ঢালী। এরপর থেকে ওই নারীর রক্তক্ষ্মরন শুরু হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরে কোতয়ালী থানা পুলিশ এবং গাইনী বিভাগের সিনিয়র চিকিৎসকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন।

শেবাচিম হাসপাতালের গাইনী বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. শিখা সাহা বলেন, রোগীর স্বজনদের রক্ত সংগ্রহ করার কথা জানালে তারা ডাক্তারকেই রক্ত সংগ্রহ করতে বলেন। এ নিয়ে ভুল বোঝাবুঝির এক পর্যায়ে উভয় পক্ষ হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কিতে লিপ্ত হন।

এ সময় কোনভাবে ওই প্রসূতি নারী আঘাত পেতে পারেন। ওই ঘটনার পর তিনি নিজ দায়িত্বে ওই নারীকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে অস্ত্রপচার করেন। তার অবস্থা স্থিতিশীল। চিকিৎসায় সে দ্রুত সুস্থ্য হয়ে উঠবে বলে আশা করেন ডা. শিখা সাহা।

এব্যপারে মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (কোতয়ালী) মো. আসাদুজ্জামান জানান, রোগীর পেটে লাথি মারার খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। দুই পক্ষ পরস্পর বিরোধী অভিযোগ করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।


সোনালীনিউজ/ঢাকা/আকন

Wordbridge School
Link copied!